সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামির অন্যতম জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনকে সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারে রিভিউ খারিজের চূড়ান্ত রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। এখন একমাত্র রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ আছে তার সামনে।
বুধবার (২২ মার্চ) সকালে এ রায় পড়ে শোনানো হয় বলেজানিয়েছেন সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সগীর আলী।
জেল সুপার জানান, প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা তা জানানোর আগে নিজের আইনজীবী ও পরিবারের সাথে দেখা করতে চেয়েছেন দেলোয়ার হোসেন রিপন। তবে আজ দেখা করানোর জন্য শিডিউল নেই। কাল দেখা করানো হতে পারে।
দেলোয়ার হোসেন রিপন বর্তমানে সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারে বন্দি আছেন। মামলার অপর দুই আসামি জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জঙ্গি শরীফ শাহেদুল বিপুল বন্দি আছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।
মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন।
প্রায় সাত বছর পর গত বছরের ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল রেখে ১১ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ১৪ জুন রায় হাতে পাওয়ার পর ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন আপিল না করলেও আপিল বিভাগ তার জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করেন।
আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ হয়ে যায়। গত ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা রিভিউ করেন। রোববার (১৯ মার্চ) দেওয়া রিভিউ খারিজের রায় মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়।
Leave a Reply