ছুটছেন জয়ের নায়ক নাসির। ছবি: প্রথম আলোবঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই! ইতিহাসের সাক্ষী হতে স্টেডিয়ামে হাজির প্রায় ২৬ হাজার দর্শক। সঙ্গে টিভিতে বুঁদ হয়ে থাকা সারা দেশের অযুত-নিযুত দর্শক তো ছিলই। কাউকে হতাশ করেনি মামুনুল ইসলামের দল। বঙ্গবন্ধু কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পা রাখল বাংলাদেশ। রোববারের ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া।
টুর্নামেন্টে আগের দুই ম্যাচে গোল পাননি এমিলি। আজ প্রথমার্ধের শুরুতেই দারুণ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করলেন বাংলাদেশ স্ট্রাইকার। তবে ক্ষণে ক্ষণে তেড়েফুঁড়ে এগিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণ কাঁপিয়েছিলেন জাহিদ। কিন্তু কাজের কাজটি করলেন আসলে ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন। ৪০ মিনিটে মামুনুলের কর্নারে দুর্দান্ত ফ্লিকে দর্শকদের আনন্দে ভাসালেন নাসির। গোছানো ফুটবলে দারুণভাবে প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য বাংলাদেশের খেলায় আগের ছন্দটা ঠিক খুঁজে পাওয়া গেল না। এ সময় বেশ কিছু আক্রমণ রচনা করে থাইল্যান্ড। ৬৪ মিনিটে থাই অধিনায়ক পকরনের শটটি বারে লেগে ফিরে আসায় বাংলাদেশের রক্ষা! ৭১ মিনিটে আরেকটি দারুণ আক্রমণ চালায় থাইল্যান্ড। তবে ডিফেন্ডার রায়হানের স্লাইডিং ট্যাকলে বেঁচে যান মামুনুলরা। বাংলাদেশ গোলরক্ষক সোহেলের পারফরম্যান্সও ছিল দেখার মতো। তবে আগের ম্যাচের নায়ক হেমন্ত বিশ্বাস আজ ছিলেন নিষ্প্রভ। প্রতিপক্ষের কড়া নজরদারির কারণে নিজের জাদু দেখাতে পারেননি হেমন্ত।
ম্যাচে বাংলাদেশের দখলে বল ছিল ৫১ শতাংশ। বাংলাদেশ মোট শট নিয়েছে ১২টি, থাইল্যান্ড সেখানে ৭টি। লক্ষ্যে মামুনুলের দলের শট ছিল ৪টি আর থাইরা নিয়েছে ৩টি।
বঙ্গবন্ধু কাপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠায় স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বাসিত বাংলাদেশ। এবার আসল স্বপ্ন পূরণের পালা। প্রথম ফাইনালে ওঠার কৃতিত্বটা আরও বড় আয়তন নিয়ে প্রথম শিরোপায় রূপান্তরিত হয় কি না, সেই অপেক্ষায় পুরো বাংলাদেশ।
Leave a Reply