নিউজ সর্বশেষ ২৪ রিপোর্ট:
প্রতারণা ও আতœসাতের অভিযোগে সাজা প্রাপ্ত আসামী কথিত দানবীর রাগীব আলীর বিরুদ্ধে দুই কোটি ১৫ লক্ষ টাকা আতœসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন এক লন্ডন প্রবাসি। গতকাল সোমবার সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
যাহা সিআর মামলা নং ৪৭৭/১৭ইং। আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। মামলা সুত্রে জানা যায়, নাবিদা ডেভলাপমেন্ট লি: সিলেট’র চেয়ারম্যান মো: আখলাকুর রহমান (গুলজার)। তার কোম্পানী বিগত ০৮/০২/২০০৫ ইংরেজী তারিখে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের মঞ্জুরীপত্র ঐঙ/ঈজ/গএ/৯৫০/২০০৫ মূলে ০৩ (তিন) কোটি টাকা লোন মঞ্জুর হয়।
এর মধ্যে কোম্পানীর তিন কিস্তিতে ২,১৫,০০০,০০/- (দুই কোটি পনের লক্ষ) টাকা উত্তোলন করা হয়। কোম্পানীর বেশীর ভাগ পরিচালক ও শেয়ার হোল্ডার যুক্তরাজ্য প্রবাসী। বিগত ০৫/০৭/২০০৮ ইংরেজী তারিখে দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকায় সাউথ ইস্ট ব্যাংকে মরগেজকৃত সম্পত্তির নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
রাগীব আলীর সাথে পারিবারিক ভাবে পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ায় তার সাথে টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন উনার সাথে যদি যোগাযোগ করে লন্ডনে লেনদেন শেষ না করা হয় তাহলে সম্পত্তি নিলাম হয়ে যাবে।
তার কথায় তিনি অন্যান্য শেয়ার হোল্ডারদের সাথে যোগাযোগ করে এবং সিদ্ধান্ত নেয়া হয় রাগীব আলীর সাথে যোগাযোগ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লেনদেন শেষ করা হবে। এক পর্যায়ে রাগীব আলী সাথে শেয়ার হোল্ডারদের সমঝোতা হয় এবং সমঝোতা
অনুযায়ী রাগীব আলীর লন্ডনস্থ ব্যাংক একাউন্ট নং- ০০১৫১০৪ শর্ট কোড ৩০৯০৫৯ লয়েডস টি.এস.বি ব্যাংকে আমার কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার তোফায়েল আলম তুহিন ৫০০০ পাউন্ডের একখানা চেক যাহার নং- ০৮১২০১, তারিখ ০৮/০৮/২০০৮ ইংরজেী তারিখে চেক প্রদান করে টাকা পরিশোধ করা শুরু করেন। পরবর্তীতে রাগীব আলী বলেন যে চেকে টাকা নিতে সমস্যা আছে। তাকে নগদে টাকা দিতে। নগদ পরিশোধে রাজি না হলে রাগীব আলী আবারও বন্ধকীকৃত সম্পত্তি নিলাম হয়ে যাবে বলেন।
এমতাবস্থায় সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে তার কথামত তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখে এবং সর্বশেষ বিগত ৩০/০৫/২০০৯ ইং তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট ২,১৫,০০০/- (দুইলক্ষ পনের হাজার) ব্রিটিশ পাউন্ড, যাহা বাংলাদেশী টাকায় আনুমানিক ২,৭৯,৫০,০০০/- (দুই কোটি উনআশি লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা অনেক কষ্টে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ধার করে নগদ প্রদান করেন। উল্লেখ্য যে, তৎকালীন সময়ে ১ পাউন্ডের মূল্য বাংলাদেশী টাকায় ১৩০ টাকা। তারপরে রাগীব আলীর নির্দেশ ও পরামর্শ অনুযায়ী ১০/১২/২০১০ ইং তারিখে সুদ মওকুফের জন্য আবেদন করেন। এ সকল বিষয় নিয়ে সোমবার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী(২) জানান, রাগীব আলী লন্ডনে গিয়ে আখলাকুর রহমান গুলজারের কাছ থেকে ২,১৫,০০০ (দুই লক্ষ পনের হাজার) পাউন্ড বাংলাদেশী টাকায় অনুমান ২,৭৯,৫০,০০০/- (দুই কোটি উনআশি লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আদালত তা আমলে নিয়ে সমন ইস্যুর নির্দেশ প্রদান করেছেন।
Leave a Reply