বৃহস্পতিবার বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক ছিল। কিন্তু বিয়ের আগের দিন এসে হঠাৎ কনেপক্ষের কাছে যৌতুক চেয়ে বসে বরপক্ষ। এতে কনেপক্ষের লোকজনের পিটুনির শিকার হয়েছেন বরের মা ও ভাই। বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার তালধারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অনেক অর্থ ব্যয়ে বিয়ের সব আয়োজন শেষ হলেও শেষ পর্যন্ত যৌতুকলোভী বরের হাতে মেয়েকে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন কনের অভিভাবকরা। সব আয়োজন শেষ। প্রথা অনুযায়ী বিয়ের আগের দিন হলুদ শাড়ি গায়ে জড়িয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুখ মিষ্টি করে এসেছিল কনে। মেহেদির রঙে হাত রাঙিয়েছিলেন তালধারী গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে ইসমত আরা। কিন্তু বিয়ের আগের দিন যৌতুকের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তার বিয়েটি ভেঙে যায়। তার সঙ্গে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানাধীন মোল্লাপাড়া এলাকার বজল আলীর ছেলে আপেল আলীর (২৬) বিয়ে ঠিক হয়। বিয়েতে দেড় লাখ টাকা যৌতুক নেয়ার চুক্তি করা হয়। বিয়ের আগের দিন বরের মা ও ছোট ভাই কনে বাড়িতে যৌতুকের টাকা নিতে যান। সেই সময় টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বর আপেল আলীর মা বিয়ে ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন। তাতেই শুরু হয় সমস্যা। ওই সময় উত্তেজিত গ্রামবাসী আপেল আলীর ভাইকে লাঠিপেটাও করে। পরে খবর পেয়ে রাতে বর আপেল আলীর স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরের দিন বৃহস্পতিবার বর আর বিয়ে করতে আসেনি। কনের দাদা আবদুর রশিদ জানান, দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেয়ার চুক্তিতে বিয়েটি ঠিক হয়। সে অনুযায়ী কিছু টাকা ধার করা হয়েছিল। বিয়ের আসরেই বরের হাতে ওই টাকা তুলে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের আগের দিন বরের মা ও ছোটভাই এসে তাদের কাছে যৌতুকের টাকা নিতে এসেছিল। কনের বাবা বাদশা শেখ জানান, যে পরিবার বিয়ের আগেই যৌতুকের টাকা দাবি করে এমন পরিবারে মেয়ে দেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
Leave a Reply