বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :::
ডেইলি চিরন্তন অনলাইন নিউজ পোর্টালের জন্য সিলেটসহ দেশ বিদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আগ্রহীরা ইমেইলে যোগাযোগ করুন
শিরোনাম ::
শিশু মুনতাহাকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করা হয়,গ্রেপ্তার ৪ রেকর্ড গড়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ট্রাম্প ট্রাম্পকে সমর্থন জানালেন জো রোগান আবু সাঈদ হত্যা: বেরোবির ২ শিক্ষকসহ ৯ জন বহিষ্কার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা মজুমদার কোন শিক্ষায় বড় করছেন মেয়েকে, জানালেন ঐশ্বরিয়া বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্যাডেট ফোরামের ৬ষ্ট প্রতিষ্টা বার্ষিকী উদজাপন ‘মাজার ভাঙচুর করে সুন্নি জনতাকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না’ জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার কঠোর বার্তা পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের মেসির মাঠে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন মায়ামি কোচ বন্যায় আরো মৃত্যু, সবচেয়ে বেশি কুমিল্লায় প্রাথমিকের ‘শপথ বাক্য’ থেকে বাদ গেল বঙ্গবন্ধুর অংশ অন্তর্বর্তী সরকারে কে কোন দপ্তর পেলেন নোবেল বিজয়ী থেকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য উপদেষ্টা যারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত ৪২ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ আশঙ্কা ছিল এ ধরনের একটা আঘাত আসবে : প্রধানমন্ত্রী
আসাম থেকে কেনা হবে ৩৪০ মে.ও. বিদ্যুৎ

আসাম থেকে কেনা হবে ৩৪০ মে.ও. বিদ্যুৎ

biddut_286778এবার ভারতের আসাম থেকে বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। এখান থেকে ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনা হবে। আসামের বনগাগাঁও থেকে ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশের আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে এই বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। বনগাগাঁও ও এর আশপাশে অবস্থিত ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানির (এনটিপিসি) একাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এই বিদ্যুৎ আসবে। আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে বর্তমানে ভারতের ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসছে। আরও ৬০ মেগাওয়াট আমদানির প্রস্তুতি চলছে।

পিডিবির একজন বোর্ড সদস্য সমকালকে জানিয়েছেন, যে পথে ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের সেই সঞ্চালন লাইনকে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এইচভিডিসি (হাই ভোল্টেজ ডিরেক্ট কারেন্ট) লাইনে উন্নীত করা হবে। এর সক্ষমতা হবে ৫০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ত্রিপুরা থেকে ১৬০ মেগাওয়াট আসবে। বাকি ৩৪০ মেগাওয়াট আসাম থেকে আমদানি করা হবে। ত্রিপুরার পালাটানা ও আসামের বনগাগাঁও ৫৫০ কিলোমিটারের ৪০০ কেভি ডিসি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে সংযুক্ত।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ডিসেম্বরে দিলি্লতে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সচিব পর্যায়ের জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে আসাম থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে আলোচনা হয়। এরপর একটি যৌথ কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আসাম থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি সম্প্রতি পিডিবির বোর্ড সভায় অনুমোদিত হয়। এনটিপিসির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ ভ্যাপার নিগম লিমিটেডের (এনভিভিএন) মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ কেনা হবে। বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বিশেষ আইনের আওতায় সমঝোতার মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম ঠিক করা হবে। এনভিভিএনের সঙ্গে নেগোশিয়েশনের জন্য পিডিবিকে অনুমতি দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিগগিরই প্রস্তাব পাঠবে বিদ্যুৎ বিভাগ।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল বেরুনী সমকালকে জানান, আখাউড়া সীমান্তের বাংলাদেশ-ত্রিপুরা সঞ্চালন লাইনকে এইচভিডিসিতে উন্নীত করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী জুনে অনুষ্ঠেয় জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদিত হলে কাজ শুরু হবে।

২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়। এই বিদ্যুৎ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর হয়ে বাংলাদেশের ভেড়ামারা দিয়ে প্রবেশ করে। এর মধ্যে ২৫০ মেগাওয়াট কেনা হয় ভারতের সরকারি খাত থেকে বাকি ২৫০ মেগাওয়াট আসে বেসরকারি খাত থেকে। সরকারি খাতের প্রতি ইউনিটের (কিলোওয়াট/ঘণ্টা) বিদ্যুতের দাম পড়ে প্রায় তিন টাকা। আর বেসরাকরি খাতের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনা হয় গড়ে ৬ টাকায়। অন্যদিকে ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী জেলার পালাটানায় স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনছে বাংলাদেশ। গত বছরের ২৩ মার্চ এই বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়। এই ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের জাঙ্গালিয়া (কুমিল্লা) গ্রিডে যুক্ত হয়। পালাটানা থেকে আরও ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়। ত্রিপুরার প্রতি ইউনিটের দাম পড়ছে সাড়ে পাঁচ রুপি (প্রায় সাড়ে ৬ টাকা)।

বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় সরকার। এর মধ্যে নেপাল থেকে ১ হাজার মেগাওয়াট আনার পরিকল্পনা রয়েছে। ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে ১শ’ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। ভারত থেকে আরও বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ বিশেষ করে লাওস, মিয়ানমার থেকেও বিদ্যুৎ আমদানি করতে চায় সরকার।

সংবাদটি ভালো লাগলে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

November 2024
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  



© All rights reserved © dailychironton.com
Design BY Web Nest BD
ThemesBazar-Jowfhowo