স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এখনকার পুলিশ জনবান্ধব। দশ বছর আগের পুলিশ আর এখনকার পুলিশ এক নয়। আজ শনিবার দুপুরে সাভারের অমরপুর বেদে পল্লীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, এখন বেদের পেশা পরিবর্তনের সময় এসেছে। বেদেরা সাপ ধরা ছেড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতি অগ্রসর হচ্ছে।
এ সময় তিনি বেদে সম্প্রদায়ের প্রশিক্ষণ গ্রহীতাদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন এবং বেদে পল্লির বক্তারপুর, পোড়া বাড়িসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লা পরিদর্শন ও সেখানে বেদে সম্প্রদায়ের একটি গার্মেন্ট কারখানা এবং তাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার মান উন্নয়নে তৈরি একটি স্কুলের উদ্বোধন করেন।
এ সময় তার সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা: এনামুর রহমান, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শফিউর রহমান, সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী আবদুল গনি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের সিটি সেন্টারের পাশে বেদে সম্প্রদায়ের জন্য নির্মিত ‘উত্তরণ ফাউন্ডেশন’ নামে তৈরি পোশাকের একটি শো-রুম উদ্বোধন করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কাওমী মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগেই অঙ্গিকার ছিল। সে লক্ষ্যে তিনি কয়েক বছর আগে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। গঠিত এ কমিটির প্রধান ছিলেন হেফাজতে ইসলামের প্রধান মাওলানা শাহ আহম্মেদ শফি। পরবর্তীতে সেই কমিটির প্রধান মাওলানা শাহ আহম্মেদ শফির নেতৃত্বে কমিটির অন্যান্য আলেমরা একমত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আসেন। তখন প্রধানমন্ত্রী এটাকে স্বীকৃতি দেন। এ নিয়ে নতুন করে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। ।
মন্ত্রী আরও বলেন, কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতির বিষয়টি আলেম-ওলামাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এখানে হেফাজতে ইসলামের বা শফির ব্যক্তিগত কিংবা রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা নেই। এটা মূলত যারা কাওমী মাদ্রসায় পড়ে তাদের দাবি পূরণের লক্ষ্য মাত্র।
পুলিশ সদর দপ্তরের এডিশনাল ডিআইজি হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে বেদে সম্প্রদায়ের জীবনাচার বদলে যাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি যে উদহারণ সৃষ্টি করেছেন তা সমাজের উজ্জল দৃষ্টান্ত । এ ধরনের কাজ দেশের যে কেউ উদ্যোগ নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে করার চেষ্টা করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে হাবিবুর রহমানের উদ্যোগ সত্যিই প্রসংসার দাবি রাখে। তিনি এ বেদে সম্প্রদায়ের জন্য উদ্যোগী হয়ে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, গার্মেন্ট, শো-রুম, রাস্তাঘাট এবং তাদের শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন।
Leave a Reply