ডেইলি চিরন্তন:সিলেট ও সুনামগঞ্জের দুই লক্ষ মানুষ ভিজিএফ এর আওতায় ত্রাণ সহায়তা পাবে। এর মধ্যে সিলেট জেলার ১৩ উপজেলার ১০৫টি ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ হাজার ভিজিএফ কার্ডধারি পরিবারকে মাসিক ৩০ কেজি চাল ও ৫শ টাকা বিতরণ করা হবে। শুধু কৃষক নন মৎসজীবীদেরও এ অনুদান দেওয়া হবে। বুধবার বেলা পৌনে ১টায় সিলেট জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এ তথ্য জানান সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার। এছাড়াও সুনামগঞ্জের ১১টা উপজেলায় দেড় লক্ষ মানুষ ভিজিএফ এর আওতায় ত্রাণ সহায়তা পাবে বলে তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুজ্জামান।
স¤প্রতি আকস্মিক বন্যায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত ত্রাণ কার্যক্রম সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ২৩ এপ্রিল থেকে ৯৮ দিন ব্যাপী এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বর্তমানে সিলেটের দুস্থ পরিবারগুলোর ভিজিএফ কার্ড বিতরণের যাচাইবাছাইয়ের কার্যক্রম চলছে। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম আরো স¤প্রসারণের জন্য মন্ত্রণালয়ের বরাবরে আবেদন জানানো হয়েছে। এ কার্যক্রমে ভিজিএফ কার্ড প্রাপ্ত ৫০ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ৪ হাজার ৯শ মেট্রিক টন চাল ও ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিতরণ করা হবে। যা মাসিক হারে প্রতি পরিবারকে ৩০ কেজি চাল ও ৫০০টাকা করে বিতরণ করা হবে।
সরকারের কাছে এ দুর্যোগ মোকাবেলায় যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সিলেটে প্রায় ১০ লাখ লোক বন্যায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটি মোকাবেলায় সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সহযোগীতা করে যাচ্ছে। সিলেটের প্রতি ইউনিয়নে গড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫০ পরিবারকে ভিজিএফ কার্ড দেওয়া হবে। তিন মাস ৮ দিন ব্যাপী এ কার্যক্রমে ২হাজর ৭৫০ জন মৎস্যজীবী পরিবারকেও কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হবে।
পরিসংখ্যান তোলে ধরে জেলা প্রশাসক জানান, সিলেট জেলার সদন উপজেলায় ৩ হাজার ৬০০, কোম্পানীগঞ্জে ২হাজার ৭০০, বালাগঞ্জে ২হাজার ৭০০, ওসমানীনগরে ৩হাজার ৬০০, বিশ্বনাথে ৩হাজার ৬০০, দক্ষিণ সুরমায় ৪হাজার ৫০০, ফেঞ্চুগঞ্জে ২হাজার ২৫০, কানাইঘাটে ৪ হাজার ৫০, জকিগঞ্জে ৪ হাজার ৫০, গোয়াইনঘাটে ৪ হাজার ৫০, জৈন্তাপুরে ২হাজার ৭০০, গোলাপগঞ্জে ৪ হাজার ৯৫০, বিয়ানীবাজারে ৪ হাজার ৫০০ ভিজিএফ কার্ডধারী পরিবারকে এ সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়াও আরো ২হাজার ৭৫০ মৎস্যজীবী পরিবারকেও সহায়তা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে এ কার্যক্রমের আওতায় সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, গত ২৯ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ধারাবাহিক ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের মোট ৩৪ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
তিনি আরো জানান, প্রথম ধাপে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও দুস্থ লোকদের জন্য জেলা ত্রাণ তহবিল থেকে ৩২০ মেট্রিক টর চাল ও বিশ লাখ ৮০ হাজার টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।
Leave a Reply