রাজধানীর বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামিরা বিত্তশালী হওয়ায় তাদের প্রকৃত বিচার হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে ধর্ষণবিরোধী এক পদযাত্রা ও প্রতিবাদ সমাবেশে। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ধর্ষকের বিরুদ্ধে পদযাত্রা’- শীর্ষক ধর্ষণবিরোধী এ পদযাত্রা ও প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। ‘অপরাজেয় বাংলা’ নামের একটি সংগঠন এ পদযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করে। এতে রাজনীতিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। সমাবেশে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, মানুষের মধ্যে আশঙ্কা ও সংশয় দেখা দিয়েছে যে, বনানীর ধর্ষণকারীরা অনেক শক্তিশালী, তাদের বাবা শ’ শ’ কোটি টাকার মালিক। তারা হয়তো টাকার জোরে পার পেয়ে যাবে। তাদের প্রকৃত বিচার বোধহয় হবে না। তিনি বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি যারা ক্ষমতাশালী তাদের বিচার হয় না। তারা বিচারের আওতার বাইরে থেকে যায়। সেই কারণে মানুষের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। নারী বিচারপতি, নারী আইনজীবী ও প্রসিকিউটরের মাধ্যমে আলাদা বিচারালয়ে এই ধর্ষণ মামলার বিচারের দাবি জানান গোলাম কুদ্দুস। সমাবেশে সাংবাদিক অঞ্জন রায় বলেন, বনানীতে ধর্ষণের ঘটনার শিকার মেয়েরা যে বর্ণনা দিয়েছেন, সেটি আজকে ইউটিউবে ঘুরছে। আমাদের বিচার বিভাগের অনেক সক্ষমতা আছে, তা আমরা জানি, বিচার বিভাগকে দ্রুত এই বিষয়টি তদন্ত করতে হবে। সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজা বলেন, আমরা প্রত্যেকটি ঘটনার বিচার চাই। আমরা তনু ধর্ষণ-হত্যার বিচার পাইনি, আমরা নিশা হত্যার বিচার পাইনি। প্রত্যেকটা ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা চাই। বিচারহীনতার সংস্কৃতি শুরু হলে সমাজে অসংখ্য সাফাত-সাদমান-নাঈম আশরাফের জন্ম হবে। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন- জাসদের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাজী সালমা সুলতানা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান, গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠনক কামাল পাশা, সংগঠক কানিজ জাকিয়া সুলতানা, অক্সফামের কান্ট্রি ডিরেক্টর এমবি আকতার প্রমুখ।
Leave a Reply