সংসদ নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি এবং লুটতরাজের অভিযোগ এনে জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জনগণের সম্পদ যারা লুটে নিয়েছে নিশ্চয়ই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা ইতোমধ্যেই খালেদা জিয়া এবং তার পরিবারের সদস্যদের পাচার করা টাকা দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তদন্ত চালানোর স্বার্থে আমরা সবকিছু বলতে পারলাম না।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট বিষয়ক এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। যেই গ্লোবাল ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে খালেদা জিয়া এবং তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি এবং মানি লন্ডারিংয়ের কথা বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিরোধীদলীয় এই সাংসদকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের বিষয়টি সংসদে তুলে ধরায় তাকে ধন্যবাদ জানান।
সংসদ নেতা বলেন, সরকার যদি এই অভিযোগ তোলে তাহলে আমাদের দেশে বহু লোক আছে যারা মায়াকান্না করবে। তারা বলবে আমরা প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে এটা করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু সংসদে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, আমরা আশা করি জনগণ বুঝবে কিভাবে জনগণের সম্পদ লুট করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ পর পর ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
তাদের শাসনামলে বিএনপি দেশের কোন উন্নতি করে নাই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপরন্তু তাদের ৫ বছরের শাসনামলে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার অবনতি হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় আসার পরই বিএনপি হত্যা, খুন, নির্যাতন, সীমাহীন দুর্নীতি এবং সম্পদ লুন্ঠনের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছে। তারা দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে যার সবকিছুই জনগণ জানে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বিএনপির সময়ে বেগম জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে পেরেছে এবং এটাই পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার প্রথম কোন ঘটনা।
Leave a Reply