মন্ত্রিসভার গতকালের বৈঠকে এক অনির্ধারিত আলোচনায় পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে তিনি বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যেটুকু বোঝেন, সেটুকুই বলেছেন।
এটা নিয়ে আমার আর কী বলার আছে? মন্ত্রিসভার বৈঠক সূত্রে এ খবর জানা গেছে। বৈঠক সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রসঙ্গ ওঠে। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) এসব কিছু বোঝেন না, না বুঝে যখন যা খুশি তাই বলেন। তিনি যেটুকু বুঝেছেন, সেটুকু বলেছেন। তাই তার এ বক্তব্যের ব্যাপারে আমি আর কী বলব?
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীতে এক ছাত্রসমাবেশে খালেদা জিয়া নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে বলেন, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানানো হচ্ছে। এই সেতুতে ঝুঁকি আছে। মন্ত্রিসভা বৈঠকে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হয়। ওই কর্মসূচি ছিল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। কিন্তু প্রথমে মিলনায়তনের তালা বন্ধ রেখেছিল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিলনায়তনের ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষই দরজা বন্ধ রেখেছিল। পরে ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপে দরজা খুলে দেওয়া হয়। সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, তালা বন্ধের ঘটনাটি জানার পর আমি আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে জানাই। এটা কেন হচ্ছে, এতে সরকারের সমালোচনা হবে। বিষয়টি তাকে দেখতে বলি। ওবায়দুল কাদের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ ওবায়দুল কাদেরকে জানান, ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করায় দরজা বন্ধ রাখা হয়। ওবায়দুল কাদের তখন তাদের বলেছেন, ভাড়ার টাকা পরিশোধ হয়েছে কী হয়নি, সেটা পরে দেখা যাবে। তাদের যেহেতু ভাড়া দেওয়া হয়েছে, তাড়াতাড়ি দরজা খুলে দিন। এটা নিয়ে সরকারের সমালোচনা হবে। এরপর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ দরজা খুলে দেয়।
মানসিক স্বাস্থ্য আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন : জেল জরিমানার বিধান রেখে মানসিক স্বাস্থ্য আইন-২০১৭-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটি অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে শাস্তির বিধান রেখে সরকার এ আইনটির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের কোথাও মানসিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে হলে লাইসেন্স লাগবে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল চালালে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা তিন বছরের জেল কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।
একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও ৫ বছরের জেল কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য কার্যক্রম রিভিউ ও মনিটরিংয়ের জন্য একটি কমিটি থাকবে। তারা কাজ করবে।
Leave a Reply