চাঁদ নিয়ে সম্প্রতি আবারও মেতেছে মানুষ। কিছুদিন আগেই চীনের পাঠানো রোবটযান জেড র্যাবিট তার চন্দ্র অভিযান শেষ করেছে।
মঙ্গল গ্রহের প্রতি আগ্রহ প্রবল হলেও নাসা থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেক দেশই চাঁদে অভিযান চালাতে কাজ শুরু করেছে। আর এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, কেনো এত দীর্ঘ বিরতি? ১৯৭২ সালের পর নাসা আর কোনো চন্দ্র অভিযান পরিচালনা করা হলো না কেনো?
দীর্ঘ সময় চাঁদে অভিযান না চালানোর বিষয়ে এলিয়েন বিশ্বাসীদের দাবি, চাঁদে যারা গিয়েছিলেন তারা এলিয়েনের দেখা পেয়েছিলেন। চাঁদের বুকে তারা কিছু এলিয়েন স্থাপনাও দেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, একটানা ৬ বারের অভিযানে তারা এলিয়েনের কাছ থেকে হুমকিও পান। আর সেকারণেই চাঁদ নিয়ে পরবর্তীতে আর আগ্রহ দেখায়নি নাসাসহ বিশ্বের কোনো দেশের মহাকাশ সংস্থাই।
এই দাবিকে আরও শক্ত ভিত্তি দিয়েছেন এমন কয়েকজন ব্যক্তি যারা একসময় চাঁদে গিয়েছিলেন। অ্যাপোলো ১৪ তে চাঁদে যাওয়া নভোচারী এডগার মিশেল নিজেও এই বিষয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন। চন্দ্র অভিযান সম্পর্কে এডগার বলেন, ‘যখন আমি উপগ্রহটির মাটিতে হাটছিলাম তখন আমার বিশ্বাস দৃঢ় হয় যে আমি সেখানে একা নই। আমাদের কেউ দেখছে এবং অনুসরণ করছে।
আমি জানি না তারা কতজন ছিল। এমনকি তারা কোথা থেকে কীভাবে আমাদের উপর নজর রাখছিল তাও জানি না। তবে তারা আমাদের দেখছিল। ’
এই নভোচারী এটাও দাবি করেন, অভিযানকালে তাদের নজরে একটি দু’টি নয়, একাধিক অচেনা নভোযান চোখে পড়ে।
একই ধরনের দাবি করেছিলেন অলড্রিন’ও। চাঁদের পিঠে পা রাখা দ্বিতীয় মানুষটিও বলেছিলেন চাঁদে যে কেউ আছে তা তিনি প্রতিমুহুর্তে উপলব্ধি করেছিলেন। অ্যাপোলো ১১ অভিযানকালে তাদের শাটলযানকে ঘিরে বেশকিছু রহস্যময় আলোর বস্তুকে তিনি ঘুরতে দেখেন। এই ধরনের আলো তিনি চাঁদের অনেক স্থানেই ঘুরতে দেখেছিলেন। যা দেখে তার মনে হয়েছে এগুলো ব্যাখ্যাতীত সেসব যান, যেগুলোকে আমরা ইউএফও বলে থাকি। যদিও পরের দিকে এই বিষয়ে কথা বলা একদম বন্ধ করে দেন তিনি।
Leave a Reply