আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের লাগাম টেনে ধরার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আজ সন্ধ্যায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অফিসার্স ক্লাবের আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার এই ৪৭ বছরে আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ ও গোষ্ঠীর চাপ থাকার পরেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারা স্বাধীন বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য। এ সময় অফিসার্স ক্লাবের যে সকল সদস্য এ বছর একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন তাদের সম্মাননা প্রদান করেছে ক্লাব কতৃপক্ষ।
রাজধানীর বেইলি রোডস্থ ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রীপরিষদ সচিব ও ক্লারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শফিউল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহীম হোসেন খান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সরকারের সচিবসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে। দারিদ্রতার হার ৭০ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মান কাজই আমাদের অর্থনীতির সক্ষমতার প্রমাণ করে। তিনি বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ যে গতিতে এগিয়ে চলছে, তাতে মনে হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার যে ভিশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন তা যথা সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য তার কণ্য দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্বাধীন বাংলাদেশের কিংবদন্তী পুরুষ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রকৃত অর্থে ধারণ করতে পারলেই সকলের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রহ হবে। তিনি বলেন, দেশ ও দেশের আপামর জনতার জীবনমানকে উন্নত করার যে চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করেছি, সেখানে ব্যর্থতার কোন সুযোগ নেই। জতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা যেমন বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক বলে বলিয়ান হয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছিল, আমাদেরও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দৃপ্ত শপথ নিতে হবে।
Leave a Reply