রোগী সিজারিয়ানের উপযোগী না হওয়া সত্ত্বেও কোনো চিকিৎসক বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি তার সিজারিয়ান অপারেশন করেন তাহলে তাদের জরিমানাসহ হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
এসময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সিজার হওয়া উচিত সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ। বর্তমানে আমাদের সরকারি হাসপাতালগুলোতেও এ হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। এটা নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। আমরা ইতোমধ্যে একটি ফরম করেছি। যদি কোনো প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারিয়ান হয় তাহলে তার বিষয়ে বিস্তারিত জবাবদিহি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রোগীর কোন কোন সমস্যার কারণে সিজার করা হলো তা উল্লেখ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি উদ্যোগে ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বিভিন্ন তথ্যসংবলিত একটি ফরম পাঠানো হয়েছে। ফরমে মায়ের স্বাস্থ্য সংবলিত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থাকবে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট রোগী সিজারিয়ানের উপযোগী কিনা।
কোথাও এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট ক্লিনিক বা হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হবে।
Leave a Reply