সোচিতে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে উরুগুয়ে। ১৯৩০ আসরের পর প্রথমবারের মতো প্রথম চার ম্যাচ জিতল দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।
আগামী শুক্রবার সেমি-ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ফ্রান্সের বিপেক্ষ খেলবে উরুগুয়ে।
বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে গোল না করার আক্ষেপ নিয়েই ফিরে গেছেন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
ফিশৎ স্টেডিয়ামে শনিবার দারুণ দলীয় বোঝাপড়ায় অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। মাঝ মাঠে বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে মাঠের অন্য প্রান্তে সুয়ারেসকে পাঠান কাভানি। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের দারুণ ক্রসে ছুটে গিয়ে হেড করে জালে পাঠান পিএসজির এই ফরোয়ার্ড।
২২তম মিনিটে সুয়ারেসের নিচু ফ্রি-কিক বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক রুই পাত্রিসিও।
প্রথমার্ধে গোলের তেমন কোনো ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি পর্তুগাল। রোনালদোকে ডি বক্সে বল পেতে দেননি দিয়েগো গদিন, হোসে মারিয়া হিমেনেসরা। আতলেতিকো মাদ্রিদের দুই ডিফেন্ডার অকার্যকর করে রাখেন পর্তুগিজ অধিনায়ককে। জমাট রক্ষণ ভেঙে ফের্নান্দো মুসলেরাকে তেমন কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের গতি কিছুটা বাড়ায় পর্তুগাল। ৫৫তম মিনিটে সমতা ফেরায় তারা। ছোট করে নেওয়া কর্নার থেকে বল পেয়ে চমৎকার ক্রস করেন রাফায়েল গেরেইরো। অরক্ষিত পেপে দারুণ হেডে সারেন বাকিটা। এবারের আসর তো বটেই চলতি বছরে প্রথমবারের মতো উরুগুয়ের জালে গেল বল।
খানিক আগের নায়ক বেসিকতাস ডিফেন্ডার পেপে খলনায়ক হয়ে যান ৬২তম মিনিটে। তার হেড থেকে বল পেয়ে রদ্রিগো বেন্তানকুর বাড়ান কাভানিকে। পিএজসি ফরোয়ার্ড ডি-বক্সে ঢুকেই ডান পায়ের কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন। আবার এগিয়ে যায় উরুগুয়ে।
৭০তম মিনিটে গেরেইরোর চিপ এগিয়ে এসে ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান উরুগুয়ে গোলরক্ষক মুসলেরা। সুযোগ এসে যায় বের্নার্দো সিলভার সামনে। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার অনেক ওপর দিয়ে মেরে দলকে হতাশ করেন।
শেষ দিকে মেজাজ হারিয়ে রেফারির সঙ্গে তর্ক করে হলুদ কার্ড দেখেন রোনালদো। পর্তুগাল শেষ পর্যন্ত জিতলেও কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলা হত না তার। শেষের দিকে কর্নারের সময় পর্তুগিজ গোলরক্ষকও উঠে আসেন উরুগুয়ের ডি-বক্সে। তবে জালের দেখা আর পায়নি ফের্নান্দো সান্তোসের শিষ্যরা।
Leave a Reply