প্রথম চারটি প্রস্তুতি ম্যাচেই হেরে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ১৮ই ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মূল মিশন। তবে হেরে যাওয়াতে ভয় থাকলেও প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে। গতকাল ক্যানবেরার মাঠে দলের অনুশীলন শেষে এমনই মন্তব্য করেন তিনি। দলের প্রস্তুতি ম্যাচে হার ও দলের প্রস্তুতি নিয়ে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘হারাটা কখনোই ভাল কিছু না। হেরে গেলে নিজেদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন জাগে, সন্দেহ তৈরি হয়। আমাদের দলটা কেমন এবং এ দল নিয়ে আমাদের কিভাবে খেলতে হবে তা আমরা জানি। প্রস্তুতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। ব্রিসবেনের অনুশীলন সুবিধা দারুণ ছিল। সেখানে আমরা সব সুযোগ কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছি।’
অন্যদিকে প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানকে নিয়ে ভয়ও কম নয়। পান থেকে চুন খসলেই বরণ করতে হবে পরাজয়ের লজ্জা, যেমনটি হয়েছিল গত বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে। তবে আফগানদের বিপক্ষে কোন চাপ নেই বলেই দাবি করেন দলের প্রধান কোচ। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশেষ কোন চাপ নেই। বিশ্বকাপ মানেই চাপ। আমরা ভাল করতে চাই। কিছুটা চাপে থাকা ভাল। এটা হয়তো আমাদের প্রেরণা।’ তবে প্রথম ম্যাচ জয় যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাও তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দলে কিছু বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আছে আমাদের দলে। এ ছাড়া কয়েকজন তরুণও আছে। যারা এবার প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া খেলতে এসেছে।’
এদিকে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অন্যতম সমস্যা ইনজুরি। যে কোন সময় ইনজুরিপ্রবণ এ পেসার দল থেকে ছিটকে পড়তে পারেন- অতীত ইতিহাস এমনটাই। তবে কোচ আশাবাদী মাশরাফিকে নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আশা করি সে ভাল খেলবে, মাঠের খেলায় দলকে নেতৃত্ব দেবে। তার কাছে ভাল পারফর্মই আশা করছি আমরা।’ অন্যদিকে দলের সহ-অধিনায়ক ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ওপরও তার ভরসা কম নয়। সাকিবকে নিয়ে প্রধান কোচ বলেন, ‘আপনারা হয়তো তাকে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে খেলতে দেখেছেন। তার ব্যাটিং দুর্দান্ত। বোলিং তো বটেই। সে খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সে খুবই কার্যকর দলের জন্য ব্যাট ও বল হাতে।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ। ভয়টা এই ছোট দলটিকে নিয়েই। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ২৬টি ম্যাচ খেলেছে বিশ্বকাপে। হেরেছে ১৭টি ম্যাচে। বড় দলগুলোর পাশাপাশি ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে কেনিয়া ও কানাডার বিপক্ষে রয়েছে পরাজয়ের লজ্জা। সেই সঙ্গে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের আসর থেকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেই দেশে ফিরেছিল বাংলাদেশ দল। এবারও প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ দল হেরে গেছে প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। শুধু তা-ই নয়, আইসিসি’র সদস্য দলগুলোর কাছে হেরে পচা শামুকে পা কাটার একটি প্রবণতা বাংলাদেশ দলের রয়েছে। যে কারণ আফগানিস্তানকে নিয়েও ভয়ের কমতি নেই। কিন্তু এ ম্যাচটিতে বাংলাদেশকে শুরু করতে হবে জয় দিয়ে। আর তাহলে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বাকি ম্যাচগুলোতে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ দল।
Leave a Reply