একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ধন্যবাদ জানিয়েছে জাতীয় পার্টি।
বৃহস্পতিবার আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভোটের দিন রেখে ইসির তফসিল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব রহুল আমিন হাওলাদার এ ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে আমাদেরও দাবি ছিল। ইসি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। আমরা ইসিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি, ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিধি অনেক বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও থাকবে। আমরা আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে।
প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে তিনি বলেন, আগে মনোনয়নপত্র দাখিলে অনেক সমস্যা হতো। দলীয়ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হতো মনোনয়ন দাখিলের বিষয়ে। এবার তার আর সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন এবার মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিলের ব্যবস্থা করেছে। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
রহুল আমিন হাওলাদার বলেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসির সততা এবং আন্তরিকতা রয়েছে। এখন দেখার বিষয়, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনকে কতটা সহযোগিতা করে।
দেশের সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে এবং নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাতীয় পার্টির এ নেতা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৯ নভেম্বর, বাছাই ২২ নভেম্বর এবং প্রত্যাহার ২৯ নভেম্বর। তার ২৪ দিন পর ২৩ ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ।
৩০০টি আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচনে এবার ভোট দেবেন ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ ভোটার।
আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়ে এ তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠকে ৮ দফা দাবি জানায় সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জোট।
বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে ৮ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৮ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন বহাল রাখা। রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ যেহেতু শেষ হচ্ছে, তাই তফসিল পেছানোর সুযোগ নেই। মনোনয়নের আবেদনপত্র তোলার নিয়ম পূর্বের তুলনায় সহজ করার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কালো টাকার প্রভাবমুক্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনের সময় যেন কোনোভাবেই অস্ত্রের ব্যবহার না হয়, সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনী প্রচারকালে সংঘাত ও সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। মোবাইল, পোস্টার, মোটরসাইকেল ব্যবহার সীমিত করতে হবে। নির্বাচনকালে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
Leave a Reply