আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার কথা ছিল বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে আপাতত নির্বচনে না যাওয়ার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে দোয়া করে ভালোভাবে খেলতে বলেন। তার নেতৃত্বেই উইন্ডিজকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করে দিয়েছে বাংলদেশ। এরপরেই সোশ্যাল সাইটে শেখ হাসিনার সমর্থনে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।
সেই ভিডিও বার্তায় তিনি দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে অংশগ্রহণে তরুণদের আহ্বানও জানান বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয়।
সাকিব বলেন, ‘১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ৭২টি ম্যাচের বেশির ভাগই আমরা হেরেছিলাম। কিন্তু আমরা জিততে চেয়েছিলাম। এটা আমাদের কাছে কেবল খেলা নয়, এটা আমাদের দেশ। তাই আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছিলাম।’
‘আমি যখন ক্রিজে গিয়ে দাঁড়াই, তখন আমার সঙ্গে থাকে বাংলাদেশ। আমি যখন শুরু করেছিলাম, তখন আমার বয়স ছিল ১৯। আজ যারা তরুণ, আমি নিশ্চিত জানি প্রত্যেকেরই নিজের মতো করে স্বপ্ন আছে। ব্যক্তির স্বপ্নকে দেশের স্বপ্ন করতে হয়। এগিয়ে আসতে হয়, তৈরি করতে সঠিক পথ। আমি কোনো সুপারম্যান নই। আমি এ দেশেরই একজন সাধারণ ছেলে।’
‘এ দেশকে আমরা মা বলি। নিজের মাকে নিয়ে আমরা যেভাবে ভাবি, দেশকে নিয়ে কি আমরা সেভাবে ভাবি? অথচ, দেশ আমাদের নিয়ে ভাবছে। নজর রাখছে ভালো-মন্দের। তার ভালো থাকা মানে আমাদেরও ভালো থাকা। আর সবার ভালো থাকা মানে দেশের ভালো থাকা। দেশকে নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।’
‘সবাইকে ভালো রাখা ও সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এক দুর্বার যাত্রায় এখন আমরা আছি। বিদ্যুতে, শিক্ষায়, খাদ্যে, স্বাস্থ্যে, নারীর ক্ষমতায়নে, সামাজিক ও মানব উন্নয়নে তো বটেই, অবকাঠামো, যোগাযোগ ও ডিজিটাল উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের উদাহরণ হতে চলেছে।’
‘কিন্তু স্বপ্ন থাকলেই তো হয় না। ব্যক্তির স্বপ্নকে দেশের স্বপ্ন করতে হয়। এগিয়ে আসতে হয়, তৈরি করতে নিজেকে। জেনে নিতে হয় সঠিক পথ। আমি কোনো সুপারম্যান নই। এ দেশেরই একজন সাধারণ সন্তান। তোমরা যারা এখানে আছো। সবাই যার যার মতো আলাদা। কিন্তু একটা বিষয়ে আমরা সবাই এক। সেটা হলো, আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ।’
‘বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের সবাইকে হারিয়ে দেশকে জেতানোর লড়াইয়ে আছেন। বাংলাদেশ এখন তাঁর পরিবার। সবাইকে নিয়ে সবার ভালো থাকার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে তরুণদের নিয়ে। সবক্ষেত্রে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার নীতি গ্রহণ করেছেন তিনি। সেখানে চাই তোমার সক্রিয় অংশগ্রহণ। এ অগ্রযাত্রা আরও এগিয়ে নিতে চাই তোমার অংশগ্রহণ।’
‘এ অগ্রযাত্রা আরও এগিয়ে নিতে চাই তোমার সক্রিয় সমর্থন। আমার বিশ্বাস, আমরা দাঁড়ালে হারবে না বাংলাদেশ। কারণ তরুণেরাই আগামীর বাংলাদেশ। এবার তোমার পালা।’
Leave a Reply