ব্রিটিশ আমলে স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তান আমলে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সাম্রাজ্যবাদ ও স্বৈরাচার বিরোধী প্রতিটি গণসংগ্রামে এবং স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি অবতীর্ণ হয়েছিলেন এক অক্লান্ত যোদ্ধার ভূমিকায়। এ দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সমাজ প্রগতির লড়াই সংগ্রামে তাঁর অবদান অবিস্মরনীয়।
১৬ ফেব্রুয়ারী শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট নগরীর তালতলাস্থ দলীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি মোঃ আরিফ মিয়ার সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সাধারণ সম্পাদক জুনেদুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আরশ আলী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, পীর হবিবুর রহমান ইজারাবাদী প্রথা উচ্ছেদ ও গরীবদের ভাসান পানিতে মাছ ধরার অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অগ্রসৈনিক ছিলেন। ’৯০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তাঁর চিন্তা ধারাতে অনেক পরিবর্তন ঘটেছিল। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোন গণতান্ত্রিক বৈপ্লবিক আন্দোলন করা সম্ভব নয়। তাই পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতি বিবেচনায় নিয়ে প্রগতিশীল দেশপ্রেমিক বুর্জোয়ারদের সমন্বয়ে ৯০ সালে ৩১ আগস্ট গণতন্ত্রী পার্টি তৈরীতে ভূমিকা রাখেন। তিনি আজ আমাদের মধ্যে নেই কিন্তু রয়ে গেছে তাঁর পার্টি, শিক্ষা ও আদর্শ। আমরা সেটাকেই অনুকরণ ও অনুস্মরণ করবো।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণতন্ত্রী পার্টির জেলা কমিটির সহ সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ আইয়ুব আলী, মাছুম আহমদ, সৈয়দ সয়েফ আহমদ, আব্দুল কুদ্দুছ সরদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুলজার আহমদ, জাতীয় যুব ঐক্য সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্রী পার্টি সিলেট জেলার দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান খোকন, শংকর ঘোষ, শ্যামল কপালী প্রমুখ।
Leave a Reply