আতঙ্কিত এক মহিলা ইশারায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন- আর এগিও না…গুলি চলছে ! সেই ইশারা বুঝেই মসজিদে প্রবেশ করেনি বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা৷ তা না হলে কি হতো, ভাবা যায়? বলা যায় এক নিউজি মহিলার বদান্যতায় বেঁচে গেল তাঁদের জীবন৷ ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত নিউজিল্যান্ড৷ মসজিদে চলেছে এলোপাথাড়ি গুলি৷ তাতে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা৷ কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷
জঙ্গি হামলার খবর যখন থেকে ছড়িয়েছে তখন থেকেই বাংলাদেশ জুড়ে চাপা আতঙ্ক৷ কখন দেশে ফিরবেন ক্রিকেটাররা সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় আত্মীয় ও সবাই৷ নিউজিল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, অতিথি বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা প্রত্যেকেই নিরাপদ৷ প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এই হামলাকে ‘দেশটির ইতিহাসে অন্যতম কালো দিন’ বলে চিহ্নিত করেছেন৷
বাংলাদেশি ক্রিকেট দলের সদস্যরা শুক্রবার নামাজ পড়ার জন্য গিয়েছিলেন হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে আল নূর মসজিদে৷ তাঁরা যখন মসজিদে প্রবেশ করছিলেন তখনই এক পথচারী মহিলা সতর্ক করতে থাকেন৷ ইশারায় বুঝিয়ে দেন ভিতরে গুলি চলছে৷ এরপরেই তামিম-মুশফিকরা দৌড়ে হ্যাগলি ওভালে ফেরত আসেন। সেখান থেকে বাংলাদেশ দলকে বিশেষ নিরাপত্তায় মুড়ে ফের হোটেলে আনা হয়৷
অল্পের জন্য রক্ষা
ওই পথচারী মহিলার ইশারায় তাঁদের জীবন রক্ষা পেয়েছে৷ কারণ, তাঁর সঙ্গে দেখা না হলে প্রত্যেকেই মসজিদে ঢুকে জঙ্গি হামলার মুখে পড়তেন৷ বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা পরে জানান, অনুশীলন শেষে আমরা ওই মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম৷
বিবিসি, আল জাজিরা সংবাদ মাধ্যমের খবর, শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে জঙ্গি হামলা হয় মসজিদে। ঢাকায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে করা টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, ‘ক্রিকেট দলের সদস্যরা সবাই টিম হোটেলে ফিরেছে। সবাই নিরাপদে আছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সার্বক্ষণিকভাবে দলের খেলোয়াড় এবং ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাচ্ছে। টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলটও নিউজিল্যান্ড থেকে জানিয়েছেন, ‘ছেলেদের চোখে মুখে আতঙ্ক থাকলেও সবাই নিরাপদে হোটেলে আছেন।’ সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ২ বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন নিহত হয়েছেন।
Leave a Reply