ঢাকার বারিধারার পাশে নদ্দায় সুপ্রভাত পরিবহনের যে বাসের চাপায় এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন, সেই বাসের নিবন্ধন বাতিল করেছে বিআরটিএ।
মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ছাত্রের মৃত্যুর পর সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ এই সিদ্ধান্ত জানায়।
বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, “দুর্ঘটনাজনিত কারণে মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ৪৩ ধারা মোতাবেক ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫ নং বাসের রেজিস্ট্রেশন সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে।”
বিআরটিএর এই সিদ্ধান্তের ফলে সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি আর সড়কে চলতে পারবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুর জন্য ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫ নং বাসটির বেপরোয়া গতিকেই দায়ী করেছে বিআরটিএ।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র আবরারের মৃত্যুর পর সকালে প্রগতি সরণিতে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। বিকালে তাদের সঙ্গে সংহতি জানান ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুরও। তার আগে দুপুরে সেখানে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসেও আগুন দেওয়া হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম সকালে শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে তুলতে গিয়েও ব্যর্থ হন।
এরপর সন্ধ্যায় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে বুধবার আবার সড়কে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে যান তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- আবরারকে চাপা দেওয়া বাসের চালককে ১০ দিনের মধ্যে ফাঁসি দিতে হবে, সুপ্রভাত বাসের রুট পারমিট বাতিল করতে হবে, সিটিং সার্ভিস বন্ধ করতে হবে, বাস স্টপেজের ব্যবস্থা করতে হবে,, চালকদের ছবি ও লাইসেন্স গাড়িতে ঝোলানোর ব্যবস্থা করতে হবে, প্রতিটি জেব্রা ক্রসিংয়ে সিসি ক্যামেরা রাখতে হবে এবং ট্রাফিক পুলিশের ‘দুর্নীতি’ বন্ধ করতে হবে।
Leave a Reply