ব্যাংকে থাকা কয়েক লাখ রুপি ও ৭০ লাখ রুপির বাড়ির উত্তরাধিকারী একটি বানর। এমনটি শোনার পর নিশ্চয় যে বলছে, তাকে পাগল ভাববেন। ভাবছেন এমনও হয় নাকি! পৃথিবীতে আজব অনেক কিছুই হয় যা আমরা ভাবতে পারি না। বাস্তবে এমনটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের রায় বেরেলিতে।
এই সৌভাগ্যবান বানরের নাম চুনমুন। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে থাকে বিশাল সম্পত্তির এই উত্তরাধিকারী।
এনডিটিভি অনলাইনের খবরে বলা হয়, রায় বেরেলির নিঃসন্তান সাবিস্তা ও ব্রজেশ দম্পতি বানরটিকে নিজের সন্তানের মতোই লালন-পালন করেছেন। তাই তাঁদের সব সম্পত্তি বানরটির নামে ‘উইল’ করে দিয়েছেন। তবে সমস্যা হচ্ছে, চেকে স্বাক্ষর করা নিয়ে। বানর যেহেতু চেক সই করতে পারবে না, তাই অন্য ভাবনা ভাবতে হচ্ছে এই দম্পতির।
চুনমুনের ‘বাবা-মা’ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, চুনমুনের নামে একটি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে সেখানে দান করবেন তাঁদের সম্পত্তিগুলো। ব্রজেশ বলেন, ‘যখন আমরা থাকব না, আমাদের ইচ্ছা এই ট্রাস্ট বানরদের নিয়ে কাজ করবে। গাছ কেটে ফেলার দরুন যে বানরগুলো কষ্ট পাবে, তাদের নিয়ে কাজ করবে এই ট্রাস্ট। আমরা চাই না মানুষের ভুল কাজের জন্য কোনো বানর কষ্ট পাক।’
সবিস্তা জানান, চুনমুনের মা চুনমনুকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায়। তাঁদের কোনো সন্তান ছিল না, তাই তাঁরা চুনমুনকে নিজের সন্তানের মতো করে বড় করে তোলেন। তাঁদের বাড়ির নাম দেওয়া হয় ‘চুনমুন হাউস’।
স্থানীয়ভাবে প্রচলিত কুসংস্কার, বানর পোষা ভাগ্যের জন্য খারাপ। এ কুসংস্কারকে মিথ্যা প্রমাণিত করেছেন এ দম্পতি। তাঁদের মতে, চুনমুন তাঁদের জীবনে সৌভাগ্য নিয়ে এসেছে।
Leave a Reply