সংবাদমাধ্যমকে সযত্নে এড়িয়ে চলছেন ধোনিরা। বহু আরাধ্যে পাওয়া বিশ্বকাপ শিরোপাটা ধরে রাখার মিশনে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছে ভারত। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেওয়া ভারত দলের তো বেশ ফুরফুরেই থাকার কথা। কিন্তু হয়েছে উল্টোটা। বাতাসে উড়ো খবর, কোচ ডানকান ফ্লেচারের সঙ্গে দলের পরিচালক রবি শাস্ত্রীর নাকি ‘ঠান্ডা লড়াই’ চলছে! ওই প্রসঙ্গে গণমাধ্যমগুলোর সঙ্গে কথা বলতে না চাইলেও সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপেক্ষমাণ আগুনে লড়াইটি নিয়ে তো কথা বলা যেতেই পারে। কিন্তু গণমাধ্যমের কর্মীরা ভারতীয় দলের টিকির দেখাই তো পাচ্ছে না! মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা যে নিজেদের রীতিমতো গৃহবন্দী করে রেখেছেন!
বিশ্ব ক্রিকেটে ভারত খুব বড় নাম। স্বাভাবিকভাবেই গতবারের চ্যাম্পিয়নদের ওপর গণমাধ্যমের নজর থাকবে বেশি। কিন্তু সাংবাদিকদের প্রতিদিনই হতাশা ‘উপহার’ দিচ্ছে ভারত। সেই পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচের আগে আবশ্যকীয় সংবাদ সম্মেলনে ধোনি এলেন, এরপর থেকে উধাও। সামনে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, সেটি নিয়ে গণমাধ্যমের কর্মীদের আগ্রহ থাকবেই। অথচ অনুশীলন শেষে ভারতীয় দলের মিডিয়া ম্যানেজার এসে বলছেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা নিষেধ! রীতিমতো মুখে কুলুপ এঁটে আছেন ধোনিরা। এমনকি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচের আগেও সংবাদ সম্মেলনে ধোনির বদলে বিরাট কোহলিই আসবেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
ভারতীয় দলের এমন আচরণে যারপরনাই হতাশ গণমাধ্যমের কর্মীরা। অন্যান্য দলগুলো যেখানে নিয়মিত গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছে, ভারতীয় দলের এমন আচরণ বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তবে ফ্লেচার-শাস্ত্রীর কথিত দ্বন্দ্ব কি আসলেই সত্যি? ভারতীয় দল কি চাপের মুখে আছে? নাকি দলের মনোযোগ ধরে রাখার কৌশল এটি? এমনিতে ধোনিদের গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক অম্লমধুর, যাতে অম্লটাই বেশি। দলে অন্তঃকলহ চলছে এমন খবর ছাপা হওয়ার পাল্টা জবাবে ধোনি তো একবার পুরো স্কোয়াড নিয়ে হাজির হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে। ভারতীয় অধিনায়ক এমনও হামেশাই বুঝিয়ে দেন, কেবল তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
তবে ধোনির মনে রাখা উচিত, এই যে অগণিত সমর্থকের ভালোবাসা, তাতে কিছুটা হলেও বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমগুলোর অবদান আছে।
Leave a Reply