অবশেষে ঢাকার (কাঁচপুর)-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। গত তিন বছরের বেশি সময় থেকে এ প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরভুক্ত ‘ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণে চীনা জিটুজি ভিত্তিতে অর্থায়নে বাস্তবায়নের পরিবর্তে সীমিত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এরআগে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি কাজ পেয়েছিলো চায়নার হার্বাল ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
নাসিমা বেগম জানান, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সীমিত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হলেও এ দরপত্রে শুধু চায়নার প্রতিষ্ঠানই অংশ গ্রহণ করতে পারবে। ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের ফলে এশিয়ান হাইওয়ে, বিমসটেক ও সার্ক করিডরসহ আঞ্চলিক সড়ক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ঘটবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা, যা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। এজন্য একটি সাপোর্ট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণের জন্য অনেক আগেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলো সরকার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে চায়নার হার্বাল ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগও দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পরায় এবার সীমিত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো, আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আহুত প্যাকেজ-১১ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন ২৬৭ দশমিক ৯৮ মার্কিন ডলার হারে এ গম সবরাহের কাজ পেয়েছে মেসার্স কর্প ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিডেট। ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানিতে সরকারকে ব্যয় করতে হবে ১১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
এছাড়া বৈঠকে আর্বান প্রাইমারে হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোজেক্ট (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের একটি ক্রয় প্রস্তাব উপস্থাপন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। কিন্তু প্রকল্পটি নতুন করে শুরু করার কথা উল্লেখ আছে তাই কমিটি প্রকল্পটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেয়ার সুপারিশ করেছে বলেও জানান নাসিমা বেগম।
Leave a Reply