ব্রিটেনে নতুন করে রেস্টুরেন্ট ভিসা চালু হয়নি। তবে রেস্টুরেন্ট সেক্টরে স্টাফ সংকটনের সমাধানে মাইগ্রেশন এডভাইজরি কমিটি (ম্যাক) এর প্রস্তাব কার্যকর হলে আবারো রেস্টুরেন্ট ভিসায় দক্ষ অদক্ষ শ্রমিক আসার সুযোগ সৃস্টি হতে পারে। একই সাথে কৃষি ও নার্সিং ভিসারও সুযোগ সৃস্টি হবে। তবে এই সুযোগের অপেক্ষা করতে হবে ২০২০ সাল পর্যন্ত। ইতিমধ্যে রেস্টুরেন্ট ভিসা সক্রান্ত বিভ্রান্তকর সংবাদের কারনে বাংলাদেশে বিশেষ করে সিলেটে দালাল চক্রকের সৃস্টি হয়েছে। এই সকল দাদালদের খপ্পরে না পড়তে সবাইকে শর্তক হওয়ার আহবান জানিয়েছে বিসিএ। বুধবার পূর্ব লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন।
স্টাফ সংকটের কারনে ব্রিটেনে বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট ও টেইকওয়ে প্রতি সাপ্তাহেই বন্ধ হচ্ছে। এ সংকট সমাধানে দীর্ঘদিন যাবত লবিং আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনসহ একাদিক সংগঠন। তবে সম্প্রতি মাইগ্রেশন এডভাইজারি কমিটি ম্যাক এর সম্প্রতি ঘোষিত ইইউ এর বাইরে থেকে দক্ষ এবং অদক্ষ কর্মী নিয়োগে পূর্বের গৃহতি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে আশার আলো দেখছে বিসিএ।
সংবাদ সম্মেলনে বিসিএ নেতৃবৃন্দ জানান রেস্টুরেন্ট ভিসা এখনই নয়। ২০২০ সালের পরেই হবার সম্ভাবনা বেশি। একই সাথে ব্রিটেনে রেস্টুরেন্ট ভিসা আবারো খুলেছে এমন বিভ্রান্তিকর সংবাদে বাংলাদেশে এক ধরনের দালাল চক্র থেকে শর্তক থাকারও পরামর্শ দিয়েছে।
অন্যদিকে বিসিএ নেতারা জানিয়েছে মাইগ্রেশন এডভাইজারি কমিটি রেস্টুরেন্ট ভিসা চালু পরামর্শ দিলেও বার্ষিক বেতন ২৯ ৫৭০ পাউন্ড প্রদানের যে পরামর্শ দিয়েছে তা প্রায় অযুক্তি দাবী করে তা কমানোর দাবী করেছে। তারা বলছেন বার্ষিক বেতন ১৮হাজার থেকে ২০ হাজারের বেশি হলে এই সুযোগ কোন কাজে আসবে না।
এছাড়া যারা দীর্ঘদিন যাবত ব্রিটেনে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাস করছেন এমন দক্ষ শ্রমিকদের কাজের বৈধতা দিতে সরকারের সাথে লবিং করে যাচ্ছে বিসিএ। তারা বলছেন, এধরনের শ্রমিকদের কাজে অনুমতি দিলে কিছুটা হলেও শ্রমিক সংকট দূর হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের প্রেস সেক্রেটারী ফরদার হোসেন টিপু । সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিসিএ সভাপতি কামাল ইয়াকুব, সাধারণ সম্পাদক ওলি খান, চীপ ট্রেজারার সাইদুর রহমান বিপুল
Leave a Reply