ওলিকুল শিরোমনি হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার প্রাঙ্গণে ৭০০তম ওরসকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ভিড় বাড়ছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে ওরসের মূল আনুষ্ঠানিকতা। বুধবার ভোরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুই দিনব্যাপী উরস।
এদিকে, ওরসকে কেন্দ্র করে শুক্রবার থেকে ভক্তরা দলে দলে মাজারে আসতে শুরু করেছেন। ওরসের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও নিরপত্তা ছক চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও দরগার প্রধান ফটকে আর্চওয়ে গেট ও মাজারের আশপাশ এলাকাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অর্ধশতাধিক সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার থেকে পুরোদমে পুলিশ ও র্যাব মাজারকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে মাজারের ভেতরে ও বাহিরে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ওরসের দরগাহ এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় মোতায়েন করা হবে প্রায় দেড় হাজার পুলিশ।
অপরদিকে, ওরসকে কেন্দ্র করে যাতে নগরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ট্রাফিক ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি মাজার এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় সাদা পোশাকের দেড় শতাধিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও মাঠে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। মাজারকেন্দ্রিক হোটেলগুলোতে সবসময় মনিটরিং করবে সাদা পোশাকের পুলিশ।
এছাড়াও সিলেট নগরের প্রবেশমুখ দক্ষিণ সুরমা থেকে শুরু করে নগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বসবে পুলিশের চেকপোস্ট। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশের চেকপোস্ট চলবে।
এসএমপির মূখপাত্র ও এডিসি জেদান আল মুসা বলেন, ‘কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের পুলিশের পাশাপাশি মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তৎপর থাকবেন। এমনকি মাজারকেন্দ্রিক পুলিশি তৎপরতা নজরদারি করবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।’
জানা যায়, রেওয়াজ অনুযায়ী ওরসের দিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে মাজারে গিলাফ চড়ানো। চলবে বিকাল পর্যন্ত। মাজারে প্রথম গিলাফ চড়াবেন মাজার কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ইসলাম প্রচারের জন্য হযরত শাহজালাল (রহ.) ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে ৩৬০ সফরসঙ্গী নিয়ে সিলেট আসেন। ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে ১৯ জিলকদ তিনি ইন্তেকাল করেন। সিলেটে তিনি যে টিলায় বসবাস করতেন, সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।
Leave a Reply