রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে চারদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। অন্য এক আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এই রিমান্ডের আদেশ দেন। পুলিশ আসামিদেরকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে দেয়া আসামিরা হলেন বরগুনার তালতলী উপজেলার গাবতলী হাওলাদার বাড়ির শাহীন, ময়মনসিংহের ধোবাউরা উপজেলার দরশা গ্রামের বাচ্চু মিয়া ও উত্তর বাড্ডা কাঁচা বাজারের ফারুকের মুদি দোকানের কর্মী বাপ্পী।
শনিবার সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলে ধরা সন্দেহে তসলিমা রেনু নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিজের শিশু সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়েছিলেন তিনি।
এ সময় স্কুলের গেটে তাঁর পরিচয় জানতে চান সেখানে অবস্থান করা কয়েকজন অভিভাবক। পরে তাঁকে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে নিয়ে গেলে কে বা কারা এলাকায় ছড়িয়ে দেয় স্কুলে একজন ছেলেধরাকে আটক করা হয়েছে। এরপর স্থানীয় কয়েকশ মানুষ স্কুলের গেট ভেঙে তাসলিমাকে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষ থেকে টেনে হিঁচড়ে এনে পেটাতে শুরু করে। পুলিশ তাসলিমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত তাসলিমার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। রাজধানীর মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে ও মাকে নিয়ে থাকতেন তিনি। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়। তাঁর ১১ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। ছেলেটি বাড্ডায় বাবার সঙ্গে থাকে।
Leave a Reply