রাখে আল্লাহ মারে কে? প্রায় সাড়ে ছয় মাসের এক অপরিণত শিশু মায়ের গর্ভাশয় থেকে বেরিয়ে আসে বাইরে। পাতলা আস্তরনে থলথলে অ্যামনিয়োটিক স্যাকের ভিতরে ঘুমিয়ে রয়েছে শিশুটি। তখনও ভুমিষ্ঠ হয়নি।
পাতলা আস্তরনের মধ্যে দেখা যাচ্ছে শিশুটির খুদে হাত-পা। কীভাবে অ্যামনিয়োটিক স্যাকের পর্দা ফাটিয়ে বাইরে এসে বুক ভরে শ্বাস নেবে শিশুটি, আদৌ বাঁচবে কিনা এমনই আশঙ্কায় অপো করছেন ডাক্তাররা। কারণ ডাক্তাররা জানেন, মায়ের গর্ভাশয় থেকে অ্যামনিয়োটিক স্যাক অত অবস্থায় বেরিয়ে আসে ৮০ হাজারের মধ্যে একবার। তাহলে ভাবতে পারচ্ছেন অপারেশন রুমে কী কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে ডাক্তারদের!
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সিডারস-সিনাই মেডিক্যাল সেন্টারে ডাক্তার বিন্ডার জানান, আমাদের চোখের সমানে ঘটে চলেছে অবিশ্বাস্য ঘটনা। যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় মেডিক্যাল মিরাকেল। শিশুটিকে তার অ্যামনিয়োটিক স্যাক বার করার তোড়জোড় চলছে।
অবশেষে সুস্থভাবে শিশুটিকে বার করা হয়। মায়ের গর্ভাশয়ের ভিতর অ্যামনিয়োটিক স্যাকের ভিতর শিশু নিরপাদে লালিত হয়। ভিতরে সম্পূর্ণ পানিতে ভর্তি থাকে। স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে অ্যামনিয়োটিক স্যাকে। সাধারণত গর্ভপাত হওয়ার সময় গর্ভাশয়ের ভিতরে থেকে যায় অ্যামনিয়োটিক স্যাক .
Leave a Reply