ডেইলি চিরন্তনঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আশফাক জামান জাহিন নামে আড়াই বছরের নিজের শিশুপুত্রকে চার তলা বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন মা রোকসানা আক্তার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
logo
প্রচ্ছদসারাদেশ
শিশুপুত্রকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করলেন মা
ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০০:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ
শিশু জাহিন ও তার মা রোকসানা আক্তার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আশফাক জামান জাহিন নামে আড়াই বছরের নিজের শিশুপুত্রকে চার তলা বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন মা রোকসানা আক্তার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোর্ট পুলিশের এসআই কামাল হোসেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, রোকসানা আক্তার তার দুই বছরের শিশু পুত্র আশফাক জামান জাহিনকে নিয়ে সোমবার দুপুর ৩টায় ছাদে উঠেন। এ সময় শিশুটিকে তিনি ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। কিন্তু কী কারণে ছেলেকে ফেলে দিয়েছেন তা কিছুই বলতে পারেন না তিনি।
তবে রোকসানা আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন সেটা তার কথাবার্তায় বোঝা যায় বলে জানান এসআই আনোয়ার।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর চাচা জাহিদুজ্জামান বাদী হয়ে রোকসানা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী জাহিদুজ্জামান ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার চর পশ্চিম টেপাখোলা গ্রামের মৃত খন্দকার জহরুল আলমের ছেলে। বাদীর বড় ভাই নুরুজ্জামান গাড়িচালক। ১২ বছর পূর্বে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার আরাগ আনন্দপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে রোকসানা আক্তারকে (২৮) বিয়ে করেন নুরুজ্জামান মারুফ (৪৫)।
বিয়ের পর তাদের সংসারে এক মেয়ে ফাহমিদা জামান অর্পা (১১) দুই ছেলে জারিফ (৩) ও জাহিন (২) জন্মগ্রহণ করেন। বিয়ের পর থেকে রোকসানা আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন যাবৎ তাকে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করানো হচ্ছে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার পাগলা পশ্চিম নন্দলালপুর এলাকার আমান উল্লাহ প্রধানের বাড়িতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করেন নুরুজ্জামান মারুফ। সোমবার দুপুর ৩টায় নুরুজ্জামান কাজে ছিলেন ওই সময় তার স্ত্রী রোকসানা আক্তার ছোট ছেলে জাহিনকে নিয়ে ছাদে উঠে।
এক পর্যায়ে ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে বাসায় চলে যায় রোকসানা। পরে মেয়ে অর্পার কাছ থেকে ফোনে খবর পেয়ে নুরুজ্জামান বাসায় এসে শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
Leave a Reply