ফোরজির সাফল্যের পর ফাইভজি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণালব্ধ ফল জানালেও সম্প্রতি সুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের জানানো তথ্য অনেকটাই বিস্ময়কর। তারবিহীন উপায়ে তারা প্রতি সেকেন্ড এক টেরাবাইট তথ্য লেনদেনে সক্ষম হয়েছেন বলে জানান। ফলে ২০২০ সালের মধ্যেই ফাইভজি প্রযুক্তিকে বাস্তবে রূপ দেয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানান গবেষকরা। খবর এএনআই।
টুজি, থ্রিজি ও ফোরজির মতো উন্নত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা মোবাইল ডিভাইসের ব্যবহার বাড়াতে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে। এ কারণে মোবাইল ডিভাইস নির্মাতারাও নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার উন্নয়নে গবেষণা শুরু করেছে। কোরীয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাংও এ বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। গবেষণায় তারা প্রতি সেকেন্ডে ৭ দশমিক ৫ গিগাবাইট পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড তুলতে সক্ষম হয়েছিল।
ব্রিটিশ ফোন রেগুলেটর অফকম জানায়, ফাইভজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ১০ থেকে ৫০ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য লেনদেন সম্ভব, যেখানে ফোরজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ১৫ মেগাবাইট তথ্য লেনদেন সম্ভব। কিন্তু সুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন গবেষণা আগের মানদণ্ডগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ফাইভজি ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক, অধ্যাপক রহিম তাফাজললি জানান, তারা ১০টি নতুন প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন। ইতিবাচক ফলও পেয়েছেন। ১০টি প্রযুক্তির অন্যতম হচ্ছে ফাইভজি প্রযুক্তি। বিশ্লেষকদের মতে, ফাইভজি নেটওয়ার্কের উন্নত গতি ব্যবহার করা সম্ভব হলে প্রতি ৩ সেকেন্ডে ১০০টি পর্যন্ত চলচ্চিত্র ডাউনলোড সম্ভব হবে।
Leave a Reply