সিলেট-ঢাকা রুটে ‘বুলেট ট্রেন’ চালুসহ সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ উন্নয়নের জন্য রেলপথমন্ত্রীকে চার দফা সুপারিশসংবলিত ডিও লেটার (আধা-সরকারি পত্র) দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বরাবর ওই চিঠি পাঠান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি এ কে আব্দুল মোমেনের প্রথম ডিও লেটার বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র মতে, ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ উন্নয়নের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে চার দফা সুপারিশ করেছেন তার প্রথমটি হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে প্রচলিত ট্রেনগুলোয় আরামদায়ক উন্নতমানের নতুন বগি সংযোজন, একই রুটের প্রতিটি ট্রেনে অন্তত দুটি করে এসি কোচ এবং এসি কার সংযোজন। দ্বিতীয় সুপারিশটি হলো সিলেট-ঢাকা রুটে নতুন একটি সরাসরি ট্রেন চালু করার। তৃতীয় সুপারিশ হলো সিলেট-ঢাকা রুটে ব্রডগেজ বা ডুয়েলগেজ (যেটি তাড়াতাড়ি সম্ভব) চালু করার এবং চতুর্থ সুপারিশটি হলো প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সিলেট-ঢাকা ‘বুলেট ট্রেন’ চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার।
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘সিলেট বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক, প্রবাসীসমৃদ্ধ ও অন্যতম পর্যটন জনপদ। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুরসংখ্যক দর্শনার্থী এবং অন্যান্য পেশাজীবী এ অঞ্চলগুলো ভ্রমণ করে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে গত বছর বৃহত্তর সিলেটের শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় চা নিলামকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। শ্রীমঙ্গলে প্রতি মাসে বিশেষ একটি দিনে চা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। ওই নিলামে চট্টগ্রাম থেকে ১৫০-১৮০ নিলাম ডাককারীর শ্রীমঙ্গলে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সিলেট-চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনে এয়ারকন্ডিশন বগি না থাকার কারণে এসব ডাককারীকে চট্টগ্রাম থেকে বিমানযোগে ঢাকা, ফের বিমানযোগে সিলেট হয়ে সড়কপথে শ্রীমঙ্গলে যেতে হয়।’
এ ছাড়া সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর নাজুক অবস্থার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, ‘২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশের রেলপথ ও রেলসেবার মানের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ রেলসেবার এই সুফল ভোগ করলেও সিলেটবাসী অনেকাংশেই বর্তমান এই উন্নত রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
Leave a Reply