ডেইলি চিরন্তনঃ মাদারীপুরে দাবদাহে শিশু রোগীর চাপে হাসপাতালগুলো। শয্যা সংকটে প্রতি বেডে দুই-তিনজন করে ভর্তি, ঠাঁই নেই ফ্লোরেও। চিকিৎসক ও সেবিকারা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে গাদাগাদি করে থাকায় রোগীসহ তাদের স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরে তীব্র দাবদাহে স্বাভাবিক জনজীবনে ভোগান্তি নেমেছে। গত প্রায় ১০ দিন ধরে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। ফলে শিশু ও বৃদ্ধরা জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৪০ শয্যা থাকায় একসঙ্গে এত শিশুকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের।
হাসপাতালে রোগীর স্বজন অদীতি বলেন, আমার ভাইয়ের ছেলে হাসপাতালে ভর্তি। গরমের কারণে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বর্তমানে জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু এক বেডে দুজন থাকছে। এতে এই গরমের মধ্যে থাকতে সমস্যা হচ্ছে। শিশু রোগীর মায়েদের সারারাত বসে ও দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
ফারজানা আক্তার বলেন, আমার বাড়ি সদর উপজেলার রঘুরামপুর। আমার দুই ছেলেই অসুস্থ। একটার বয়স ৫ বছর ও ছোটটার সময় ৭ মাস। বড় ছেলের টাইফয়েড ও ছোট ছেলের নিউমোনিয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু কোনো বেড পাইনি।
মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. খলিলুজ্জামান খান বলেন, সারা দেশের মতো মাদারীপুরেও দাবদাহ বেশি হচ্ছে। ফলে রোগীর সংখ্যা আগের চেয়ে একটু বেশি। তবে এখন পর্যন্ত এখানে হিট স্ট্রোকে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। তবে গরমের কারণে এখানে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি অসুস্থ হচ্ছে।
Leave a Reply