আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বাকি ৩৯ পদের মধ্যে ২৫ সদস্যসহ ৩২ জনের নাম ঘোষণা করেছেন ওবায়দুল কাদের। তবে সাংগঠনিক সম্পাদক ৩ জনের মধ্যে ২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ২৮ সদস্যের মধ্যে তিনজন এবং শিল্প ও বাণিজ্য, ধর্ম, কোষাধ্যক্ষ পদে নাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর কার্যনির্বাহী সংসদের ২৫ সদস্যসহ ৩২ নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এনিয়ে ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে ৭৪ জনের নাম ঘোষণা করা হলো।
আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জায়গা পাওয়া ৩২ নেতা হলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও আফজাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক বেগম ওয়াসিকা, তথ্য সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
এছাড়া সদস্যরা হলেন, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তোফা জালাল মহিউদ্দিন, খ ম জাহাঙ্গীর, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বদরুদ্দিন আহমেদ কামরান, দিপঙ্কার তালুকদার, অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, আক্তার জাহান, ডা. মুশফিক, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওসার, মেরিনা জামান কবিতা, পারভিন জামান কল্পনা, হোসনে আর লুৎফক ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুন, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, ইকবাল হোসেন অপু, গোলাম রব্বানী চিনু, মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমেং আরেং, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
এছাড়া কমিটিতে একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক এবং ধর্মবিষয়ক সম্পাদকের পদ খালি রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এ পদগুলো পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। বাকি সাতটি পদ যেকোনো সময়ে পূরণ করবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
এর আগে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন (২১ ডিসেম্বর) মোট ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ৪২ নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, সাহারা খাতুন, ড. আবদুর রাজ্জাক, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবদুল মান্নান খান, রমেশ চন্দ্র সেন, কাজী জাফরুল্লাহ, আবদুল মতিন খসরু, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, ফারুক খান, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপুমণি, হাছান মাহমুদ ও বাহাউদ্দিন নাছিম। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মির্জা আজম, আহমদ হোসেন, এস এম কামাল, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও বিএম মোজাম্মেল, দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। কোষাধ্যক্ষ এনএইচ আশিকুর রহমান।
কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুন অর রশীদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদ ডা. রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজিবুল্লাহ হিরু ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহের আফরোজ চুমকি।
এর আগে নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে নবম বারের মতো শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের পুনর্নিবাচিত হয়েছেন।
মনে করা হচ্ছে, সরকার ও দলকে আলাদা করার জন্যই মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে রাখা হয়নি। তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে। যেমন, পদন্নোতি পেয়ে মন্ত্রিসভা সদস্যদের মধ্যে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বিদায়ী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। তথ্যমন্ত্রীর মতো চারজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী সংসদে রয়ে গেছেন। তারা হলেন- দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
Leave a Reply