সোমবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলনকক্ষে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মি মনমোহন প্রকাশের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সেতুমন্ত্রী এসব কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাসেক প্রকল্পে ঢাকা-এলেঙ্গা প্রকল্পের ওপেনিং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেটার কাজ শেষ পর্যায়ে। গুরুত্ব সহকারে যেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেটা হলো ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেন ও দু’পাশে দু’টি সার্ভিস লেনসহ মোট ছয় লেন প্রকল্প। আগামী মার্চের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রণয়ন কাজ শেষ হবে। এরপর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্ল্যানিং কমিশনে যাবে। সেখানে অনুমোদনের পর আমরা আশা করছি, জুলাই থেকে নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।
তিনি বলেন, ঢাকা-সিলেট ছয় লেন হলো এক্সপ্রেসওয়ে। ২০৯ কিলোমিটার এ মহাসড়কে আটটি ফ্লাইওভার, ২২টি ওভারপাস, পাঁচটি রেলওভারপাস, ৬৯টি ব্রিজ, ১০টি আন্ডারপাস, তিনটি ইন্টারচেঞ্জ, ২৯টি ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে।
এডিবি প্রকিউরমেন্টের অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের বলেছে প্রকিউরমেন্ট শেষ করে প্রসেস শুরু করতে পারি। এ প্রকল্পের অর্থায়নের বিষয়ে আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। আমি এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টরকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আজ কোনো কোনো মিডিয়াতে এসেছে এডিবি এ প্রকল্প থেকে কিছু কারণে সরে যেতে পারে। তিনি এ বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দিলেন। তিনি বললেন, এ ধরনের কোনো চিন্তা তাদের নেই।
এ প্রকল্প ছাড়াও এডিবির সঙ্গে সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক)-২ এর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেটা এলেঙ্গা থেকে রংপুর, সেটার আট প্রকল্পের মধ্যে সাতটির কাজ শুরু হয়েছে। এরপর সাসেক-৩ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেটার একটা হবে রংপুর থেকে বুড়িমারী। অন্যটি রংপুর থেকে গাইবান্ধা। এছাড়া এডিবি পরবর্তীতে বাংলাদেশে অর্থায়ন করার কথা চিন্তা-ভাবনা করছে। সেটা হচ্ছে ফরিদপুর ও বরিশাল মহাসড়ক। এগুলো নিয়েই মোটামুটি আলোচনা করেছি এডিবির সঙ্গে।
ঢাকা-সিলেটের বাজেট কতো আর পুরো অর্থায়ন এডিবি করবে এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে একটা মেসিং মানি থাকে। অর্থায়নটা বেশিরভাগই এডিবি করবে। ধারণা করা হচ্ছে, আগের বাজেট থেকে পরিবর্তন হয়েছে। কারণ আগের নকশায় সার্ভিস লেন এক পাশে ছিল, আরেক পাশে ছিল না। তারপর এতোগুলো ওভারপাস, আন্ডারপাস, ব্রিজ আগেরটায় ছিল না। যে কারণে এখন নতুন করে নকশা করতে হয়েছে। আগে ২১৫ কিলোমিটার ছিল, এখন সেটা ২০৯। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। তবে এর ব্যয় আরও কমতেও পারে। কাজ কবে শেষ হবে সেটা এখনও ঠিক হয়নি।
চট্টগ্রামের চার লেন কী ছয় লেন করা হবে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন বলেন, চিটাগাং নিয়ে আমরা অন্য কিছু ভাবছি। আমরা রেলওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে করার কথা ভাবছি। সড়কের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। দু’টি এক্সপ্রেসওয়ে করার থেকে একটা রেল এক্সপ্রেসওয়ে করা সুবিধাজনক মনে হয়। রেলের পিজিবিলিটি হয়ে গেছে।
Leave a Reply