করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছেন তাদের স্বজনরা। এর মধ্যে দুই সহোদর রয়েছেন। সরকারি সূত্রে সঠিক কোন পরিসংখ্যান প্রকাশিত না হলেও সোশ্যাল মিডিয়ার পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনে এ পর্যন্ত ৩৪ জন বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে আপন দুই সহোদর ইন্তেকাল করেছেন। তারা পূর্ব লন্ডনের শেডওয়েলহিথ এলাকায় বসবাস করতেন বলে জানা গেছে। গত ২৬ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন বড়ভাই দেলোয়ার ওয়াহিদ (৩৭)।
আর ৫ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন ছোট ভাই এনামুল ওয়াহিদ (৩২)।
তাদের দেশের বাড়ি নবীগঞ্জ উপজিলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিনগ্রাম। তাদের পিতার নাম আব্দুল ওয়াহিদ। তারাইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আব্দুর রউফ এর ভাতিজা। তাদের নিকট আত্মীয় নাসির আহমদ শ্যামল জানিয়েছেন, মৃত দেলোয়ার ওয়াহিদ এর স্ত্রী দুই ছেলে রয়েছে।
অপরদিকে মৃত এনামুল ওয়াহিদ স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সোমবার ইন্তেকাল করেছেন প্রবীণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মাওলানা আব্দুল মুকিত (৬৭ আনুমানিক)। তিনি পূর্ব লন্ডনের স্টেপনীগ্রীনের বাসিন্দা। জানা গেছে, মাত্র ৩ সাপ্তাহ পূর্বে তিনি বাংলাদেশ থেকে সংক্ষিপ্ত সফর থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরেন। তার দেশের বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের দাসউড়া গ্রামে। তিনি যুক্তরাজ্যে কাউন্সিল অব মস্কসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। একই গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট ক্যাটারার্স ফরহাদ হোসেন টিপু এক ফেইসবুক বার্তায় এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন পূর্ব লন্ডনের ক্যানিং টাউনের বাসিন্দা প্রবীণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব বদরুল ইসলাম টুনু মিয়া। তার দেশের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের কোনারাই গ্রামে।
তিনি গত ৫ এপ্রিল রবিবার লন্ডনের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ফেইসবুকে তার স্বজনরা জানিয়েছেন, তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থেকে কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তার সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply