’৯২ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছেন ওয়াকার? ফাইল ছবিনিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরে পাকিস্তানের রীতিমতো ত্রাহি দশা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মিসবাহ-উল–হক বললেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাটা হলো, কখনো হাল ছেড়ে না দেওয়া। ১৯৯২ নিয়ে ইমরান খান বরাবরই এ রকম বলেন।’ এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিসবাহর দল পেল স্বস্তির জয়। ’৯২ বিশ্বকাপেও পাকিস্তান প্রথম জয়ের মুখ দেখেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই।
পরপর দুই ম্যাচ হারার পর দারুণ এক ‘ইউ-টার্ন’; টানা তিন জয়। বিশেষ করে আজ ফেবারিট দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়টা মানসিকভাবে চাঙা করেছে পাকিস্তানকে। ’৯২ বিশ্বকাপেও টানা দুই পরাজয়ে বিদায়ের চোখ রাঙানি দিয়েছিল পাকিস্তানকে। এ পর্যায়ে ইমরান খানের আহ্বানে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ‘কর্নারড টাইগার’রা। অন্যতম ফেবারিট অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চাঙা হয়েছিল পাকিস্তান। জিতেছিল টানা তিন ম্যাচ। এবারও তা-ই! তবে কি পুনরাবৃত্তি হচ্ছে ২৩ বছর আগের স্মৃতি?
ওয়াকার তো তা-ই মনে করছেন, ‘আশা করি একই রকম হবে। বিশ্বকাপ মানে চাপের খেলা। ১৯৯২ বিশ্বকাপে দল সে চাপ ভালোভাবেই সামলেছিল। সে দলও শুরুতে হেরেছিল। কিন্তু এর পরই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। তাদের একটা বিশ্বাস ছিল (চ্যাম্পিয়ন হওয়ার), ইমরান খানের সে বিশ্বাসটা আরও দৃঢ় ছিল। সেই বিশ্বাস আমাদের সাজঘরেও আছে। আমরা আরও ভালো কিছু করতে যাচ্ছি।’
১৯৯২ বিশ্বকাপের আগে পিঠের চোট কেড়ে নিয়েছিল ওয়াকারের বিশ্বকাপ-স্বপ্ন। সাক্ষী হতে পারেননি দলের ঐতিহাসিক মুহূর্তের। তবে এবার সুযোগ আছে সেই আক্ষেপ ঘোচানোর। দলকে বিশ্বকাপ জেতানোর সুযোগ কোচ ওয়াকারের। পাকিস্তান কোচ অবশ্য এখনই অত দূর ভাবতে রাজি নন, ‘আমাদের এই বিশ্বাসটা এসেছে যে আমরা করে দেখাতে পারি। এখনই খুব বেশি দূর ভাবতে চাই না। কেবল সঠিক পথে এগোনো নিয়েই ভাবছি। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে এখনো আমাদের শেষ ম্যাচটি (১৫ মার্চ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে) জিততে হবে।’ তথ্যসূত্র: এএফপি।
Leave a Reply