জাতীয় দলে অন্তভূক্তির সময় থেকেই দলের পেস আক্রমনের নেতৃত্বে আছেন নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুরুতেই প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের সাজঘরে পাঠিয়ে দলে স্বস্তি আনেন বর্তমান ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। বিশ্বকাপেও তার পেস জাদুর পাশাপাশি আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্ব দেখতে পাচ্ছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু দেশের এই সেরা পেসার যদি না লোভ সামলাতেন তাহলে হারিয়ে যেতেন হয়তো অন্ধকারে। যেমন হারিয়ে গেছেন অলক কাপালি, আফতাব আহমেদ কিংবা শাহরিয়ার নাফিসের মতো তারকা ক্রিকেটাররা। যারা পরে ফিরেছিলেন বটে কিন্তু পূর্বের ন্যায় আর কখনো তাদের দেখা যায় নি। হ্যাঁ বলা হচ্ছে, ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ (আইসিএল) নামক ‘বেআইনি’ ক্রিকেট আসরে খেলতে এক ঝাঁক ক্রিকেটারের দেশ ছাড়ার প্রসঙ্গটা।
ওই সময় আইসিএল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সব ক্রিকেটারের কাছেই প্রস্তাব করেছিল আইসিএল খেলার। ওই ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও। তাকে পাওয়ার জন্য ১৬ কোটি টাকার লোভও দিয়েছিলেন আয়োজকরা। তবে মাশরাফি তাতে রাজি হননি। দেশের প্রতি তার ভালবাসা থেকেই তিনি সেদিন লোভের ফাঁদে পা দেননি। এমনকি বিশ্বের একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফিকেই দেখা যায় জাতীয় পতাকা পরে ম্যাচ পরবর্তী সাক্ষাৎকারে কথা বলতে।
সবসময় অন্য যেকোন কিছুর চেয়ে, জাতীয় দলের জার্সি পড়াকেই বড় সম্মানের মনে করেন তিনি। আর এই তথ্য জানিয়েছেন মাশরাফির বাবা। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী একজনের কাছে তিনি বলেছেন, ‘ছেলে তখন ইয়াং ছিল, আইসিএল খেলার জন্য ১৬ কোটি টাকা অফার দিল, ছেলে বললো, দেশের জন্য খেলে গরিব থাকলেও খুশি আমি।
Leave a Reply