সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ধোপাঘাটে উদ্ধারক়ৃত লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। মৃত ব্যক্তির নাম ইউনুছ আহমদ শামীম (৩৭)। তিনি বালাগঞ্জ উপজেলার গহরপুর দত্তপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে। পেশায় একজন আইনজীবী সহকারী বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন আফাজ।
তিনি আরও জানান, মৃত ইউনুছ আহমদ শামীম আইনজীবী সহকারী ভবনের দ্বিতীয় তলায় বসে কাজ করতেন। তিনি সদালপি শান্ত স্বভাবের ব্যাক্তি ছিলেন।
সূত্র জানায়, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ধোপাঘাটে রাস্তার পাশ থেকে বস্তাবন্দি এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয় বুধবার (১০ জুন) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে। তখন পুলিশ ধারণা করে দূরের কোনও জায়গায় হত্যা করে লাশ এখানে বস্তায় করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে আশেপাশের থানাকে লোকটির দৈহিক বর্ণানা দিয়ে মেসেজ পাঠানো হয় । তখন মৃত ব্যক্তির আঙ্গুলের চাপও সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন অনলাইন দেখে মৃত শামীমের ভাগনা মামুন আহমদ নিশ্চিত হন নিহত ব্যক্তি তার খালু । পরবর্তীতে তিনি লাশের ভাই হোসাইনকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিন সুরমা থানায় যোগাযোগ করে ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে শামীমের কাপড় ও পায়ের জুতো দেখে লাশ সনাক্ত করেন।
এ ব্যাপারে নিহত শামীমের ভাগনা মামুন ও তার পরিবারের লোকজন জানান, সোমবার রাতে তিনি ঢাকা যাওয়ার কথা বলে এয়ারপোর্ট নয়াবাজার বাসা থেকে বের হন। পরে রাতসাড়ে ১০টায় আম্বরখানায় তার ছোট ভাই হোসাইনের সাথে দেখা করে কিছু কাগজ ও কাজ বুঝিয়ে দেন। পরে তিনি রাতে আবার তার স্ত্রীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করে মৃত শামীম বলেন, যাদের কাজে যাবেন, তারা প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে আসছে এবং জালালপুর রোডে আছে। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আবার শামীম তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলেন, তিনি গাড়িতে উঠে গেছেন বলে বিদায় নেন। পরবর্তীতে রাত প্রায় দেড়টায় তার স্ত্রী আবার ফোন দিলে ফোন আর খোলা পাননি। এরপর বিভিন্নভাবে খবর নিয়েও কোন সন্ধান পাননি। নিহত শামীমের পরিবারের সদস্যরা এই নৃশংস হত্যার বিচার চান।
সিলেট জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সহ-সভাপতি দিলাজ আহমদ জানান, নিহত ইউনুছ আহমদ শামীম একজন আইনজীবী সহকারী। তার কার্ড নম্বর ১৩১১। তার এই মৃত্যুতে সবাই মর্মাহত
এ ব্যাপারে দক্ষিন সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল ফজল জানান, লাশের আত্মীয়রা থানায় এসে ছবি দেখে মৃতদেহ শনাক্ত করে। মৃত ব্যক্তির ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। তাছাড়া মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply