ডেইলি চিরন্তনঃ সিলেট দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারের শ্রীরামপুর থেকে ‘গুপ্তঘাতক’ স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯। শুক্রবার ভোরে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে রুহুল আমিন (৩৫) ও তার স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৩)। দু্’জনই বালাগঞ্জের দত্তপুর গ্রামের আব্দুল আলী ছেলে ইউনুস আহমদ শামীম (৩৮) হত্যাকাণ্ডে জড়িত।জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের কারণ ও তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি র্যাব’র কাছে স্বীকার করেছে আটককৃত স্বামী-স্ত্রী। আলোচিত এ গুপ্ত হত্যায় জড়িত অপরজন আটক রুহুল আমীনের বন্ধু শাহেদ পলাতক রয়েছে।
শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে প্রেরিত এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৯,’র এএসপি (মিডিয়া অফিসার) ওবাইন।
১০জুন বিকেল ৩টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ধোপাঘাট এলাকার রাস্তার পাশে সাদা রঙের বস্তাবন্দি এক অজ্ঞাতনামা (৩৮) ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মর্গে পাঠায় পুলিশ।ওইদিন রাতেই দক্ষিণসুরমা থানায় ছবি্এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ দেখে শামীম সনাক্ত করেন তার স্বজনরা।
পরদিন ১১জুন নিহতের ছোট ভাই মো. ইউসুফ আহমদ (৩২) বাদি হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী উলেখ করে মামলা (০৫(০৬)২০২০) দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের তদন্ত থানা পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-৯ মামলাটির ছায়াতদন্ত শুরু করে।
মামলার সূত্র ধরে র্যাব জানতে পারে যে, মৌসুমী বেগম (২৩) ও তার স্বামী রুহুল আমিন (৩৫) এই হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত।
পরবর্তীতে শুক্রবার (১২ জুন) ভোর ৪টায় র্যাব-৯’র কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আবু মুসা মো. শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামিউল আলমসহ একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মোগলাবাজার থানাধীন শ্রীরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদ্বয় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
১০ জুন ভিকটিম মৃত ইউনুস আহমদ শামীমকে বিয়ানীবাজার নিজ বাড়িতে আসতে বলে।অনুমানিক রাত ১টায় বিয়ানীবাজারে হত্যাকান্ড করে মৃতদেহ বস্তাবন্দী করে দক্ষিণ সুরমায় ফেলে দেয়।পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলমান আছে।
Leave a Reply