ডেইলি চিরন্তনঃ সিলেট জেলা ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন রিপন হত্যার ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজলকে বদলী করা হয়েছে।
ট্যাংকলরী শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে সোমবার (১৩ জুলাই)তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) বদলী করে নেওয়া হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার পিপিএম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি হিসেবে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। আর মোগলাবাজার থানার ওসি’র দায়িত্ব পালন করবেন ওই থানার ওসি (তদন্ত) সাহাবুল ইসলাম।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল নিজের বদলীর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে বদলী করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্টে ইকবাল হোসেন রিপনকে কুপিয়ে খুন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর রাত থেকে ট্যাংকলরী শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে এবং অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট আহ্বান করে সিলেটের সকল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেন।
পরে শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সিলেট মহানগর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতারা। ওই দিন প্রশাসনের কাছে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল, থানার সেক্টেন্ড অফিসার রিপন দাস ও দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ির ইনচার্জকে প্রত্যাহার এবং প্রথম সারির আসামিদের গ্রেফতারসহ ৩ শর্তে অবরোধ তুলে নেন।
তবে তারা পুলিশের ৩ কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করলেও রিপন আগেই বদলী হয়ে যান। দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ির ইনচার্জ বহাল আছেন। কেবল ওসি খায়রুল ফজলকে প্রত্যাহার নয় বদলী করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার।
এদিকে, শনিবার (১১ জুলাই) সকালে নিহতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার তমা বাদি হয়ে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় ১৩ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫/৭ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহারভূক্ত আসামি নোমান ও জড়িত সন্দেহে সাদ্দাম হোসেন নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হয়।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার দুপুরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরের দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়। পথসভা থেকে শ্রমিকরা ইকবাল হোসেন রিপন হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসি দাবি করেন।
Leave a Reply