ডেইলি চিরন্তনঃ আন্দোলন বেগবান হতে শুরু করে।সর্ব দলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর আন্দোলনের সাথে রাজনৈতিক দলসমুহ ও জনগনের সম্পৃক্ততা বাড়তে থাকে। মানুষ ১১ দফা,শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি, পুরব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার বিষয় গুলো জনগণের দাবীতে পরিনত হয়ে যায়। প্রতিদিন মিছিল মিটিং চলতে থাকে। আন্দোলন সারা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে। সরকার ও বেসামাল হয়ে উঠে। ২০ শে জানুয়ারী ৬৯ ইং ঢাকায় পুলিশের গুলিতে আসাদ শহীদ হলে সারাদেশ উতলে উঠে। দাবানলের মত আন্দোলন সারা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে। আবার ২৪ শেষ জানুয়ারী স্কুল ছাত্র মতিউর শহীদ হলে আন্দোলন গণ অভ্যুত্তানে রুপ নেয়। এটাই ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান। সরকার বেসামাল হয়ে উঠে এর ধারাবাহিকতায় ২২ শে ফেব্রুয়ারী শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেয় সরকার। ২৩ শে ফেব্রুয়ারী শেখ মুজিবুর রহমানকে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় এবং এই অনুষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়।এর পরে ২৫ শেষ মার্চ এহিয়া খান সারা পাকিস্তানে সামরিক আইন জারী করে এবং আইয়ুব খানকে ক্ষমতাচ্যুত করে।( চলবে)
Leave a Reply