২১ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস–ফারিয়াহ সুলতানা জান্নাহ্
ডেইলি চিরন্তনঃ একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনের একটি মহান দিন। এ দিনে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা রাষ্টীয় মর্যাদা লাভ করে।আর এর জন্য করতে হয়েছিল আন্দোলন
এবং দিতে হয়েছিল জীবন।তাই এটি বাঙালি জাতির জীবনে একটি তাৎপর্যময় ও গৌরবের দিন।।
✍?
আমাদের মাতৃভাষা বাংলা, প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে এ ভাষার ব্যবহার চলে এসেছে। এ ভাষায় আমরা সহজেই মনের ভাষা প্রকাশ করতে পারি। এ ভাষায় কাব্য সাহিত্য শত বছর আগেই পেয়েছে নোবেল পুরষ্কার। কাজেই বাংলা আমাদের গর্বের ভাষা ।
✍?
পাকিস্তানি শাসকবর্গ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চাইলে বাঙালির এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, মিছিল করেছে, সভা-সমাবেশ করেছে। আন্দোলনের শক্তিশালী করতে ১৯৫২ সালে গঠন করেছে “ সার্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ”। পাকিস্তানিরা ভয় পেয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে জারি করেছে ১৪৪ ধারা। কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র জনতা ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল নিয়ে রাজপথে নেমেছে। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ অনেকেই। আহত হয়েছেন আরো অনেকেই। অবশেষে সারা দেশের মানুষের তীব্র আন্দোলনের মুখে পাকিস্তানিরা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিতে বাধ্য হয়েছে।
✍?
কানাডা প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠন “মাদার ল্যাংগুয়েজ অব দ্যা ওয়ার্ল্ড” এর আব্দুল সালাম ও রফিকুল ইসলাম ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেন। তারা বাংলাদেশ সরকারকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানোর অনুরোধ জানান। গনপ্রজাতত্রী বাংলাদেশ সরকারকে তৎকালীন মাননীয় নির্দেশে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ইউনেস্কো সম্মেলনে পাঠানো হয়। ইউনেস্কো ৩১ তম সাধারন অধিবেশনে ১৯৯৯ সালে ১৭ নভেম্বর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বিকৃতী লাভ করে।
✍?
শহিদদের স্মৃতি স্মরনে ২৩ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতারাতি শহিদ মিনার নির্মান করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে শহিদ শফিউর রহমানের পিতা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে সাহিত্যিক আবুল কালাম শামসুদ্দিন শহিদ মিনার উদ্বোদন করেন। ২৬ তারিখ অপরাহ্নে পুলিশ শহিদ মিনারটি ধ্বংস করে।পরবর্তী রাতে শহিদ মিনার টি নির্মান করা হয়।
✍?
১৯৫২ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথ রজ্ঞিত হয়েছিল ভাষা সৈনিকদের রক্তে।ভাষা চর্চার দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৭ম বৃহত্তম ভাষা।বাংলা ভাষার ব্যপক চর্চা ও উৎকর্ষের মাধ্যমে এ সম্মান সম্মুত রাখতে হবে।
নাম:ফারিয়াহ সুলতানা জান্নাহ্
শ্রেনী ৬ষ্ঠ
ব্লু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ,মিরের ময়দান,সিলেট।
Leave a Reply