ভারতের কর্ণাটকের বিজয়ওয়াদায় আটক বাংলাদেশী মেয়ে সোনাকে (ছদ্মনাম) দেশে ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেলা কালেক্টর বাবু এ.। একটি এনজিও’র অধীনে থাকাকালীন মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এনজিও কর্তৃপক্ষ চেপে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ঘটনাটি প্রকাশ পেয়ে যাওয়ায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এখন তাকে সরকারি হেফাজতে নেয়ার পাশাপাশি দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াও দ্রুততর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার বাবু এ. বলেন, সোনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করতে কাজ করবে প্রশাসন। এ খবর দিয়েছে দ্য হিন্দু। জেলা কালেক্টর আরও বলেন, বিজয়ওয়াদার কোথাও বাংলাদেশী কোন নাগরিকের অবৈধভাবে বসবাস করার ব্যাপারে কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। এ ছাড়া সরকারচালিত কোন আশ্রয়কেন্দ্রে ওই মেয়েকে রাখার ব্যবস্থা করতে উইমেন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড চাইল্ড ওয়েলফেয়ার (ডব্লিউডিঅ্যান্ডসিডব্লিও) প্রকল্পের পরিচালক কে. কৃষ্ণ কুমারিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডব্লিউডিঅ্যান্ডসিডব্লিও-এর কর্মকর্তারা এনজিও’র কাছ ওই মেয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করে সরকার পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে তাকে হস্তান্তর করেছে। কয়েকদিন আগে নিজের হাতের রগ কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বাংলাদেশী ওই মেয়ে। যে এনজিও’র আশ্রয়কেন্দ্রে মেয়েটি থাকতো, সে এনজিও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি চেপে যাবার চেষ্টা করে। সিডব্লিউসি’র চেয়ারম্যান বি. নাগেশ রাও বলেন, এ দুর্ঘটনার ব্যাপারে আমাদের কিছুই জানায়নি ওই এনজিওর কর্মকর্তারা। এদিকে মেয়েটি জানিয়েছে, তাকে একমাস আগে পুরোনো আবাস থেকে নবজীবন বালা ভবনে স্থানান্তর করেছিল এনজিও কর্তৃপক্ষ। তখন তার সমস্যার দিকে কেউই মনোযোগ দেয়ার চেষ্টাও করেনি। তার আত্মহত্যা প্রচেষ্টার ঘটনা জানাজানি হলে, সিডব্লিউসি চেয়ারম্যান তখন মেয়েটিকে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। তখনও সে নির্দেশ পালন করেনি এনজিওটি। কিন্তু এখন জেলা কালেক্টরের হস্তক্ষেপে তাকে সরকারি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তার প্রত্যবাসনের প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সোনাকে দীর্ঘদিন ধরে কেন আলাদা ঘরে রাখা হয়েছিল, এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি কেউ।
Leave a Reply