ডেইলি চিরন্তনঃ সরকারি মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে দেশে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি (ফাইভ-জি) সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় পঞ্চম ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত ‘নিউ এরা উইথ ফাইভজি’র অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই সেবার উদ্বোধন করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এ বিষয়ে অনুপ্রেরণামূলক বার্তা দেন।
অনুষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে একটি ফাইভ-জি সাইট উন্মোচন করা হয়, যার মাধ্যমে অতিথিরা এআর/ভিআর ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নেন, ফাইভজি প্রযুক্তির উদ্ভাবনী ব্যবহারের বিভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কে জানতে পারেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘যত দিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে, তত দিন বাংলাদেশ সব খাতে এগিয়ে যাবে। আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাব।
জয় আরো বলেন, ‘ফাইভ-জি আমরা মিস করলে ভবিষ্যত্ ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য সমস্যা হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া। ফাইভ-জি কেবল উন্নত দেশগুলো চালু করছে। আমরাও সেই সেবা চালু করতে যাচ্ছি। আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না।’ তিনি দেশের মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের বিবর্তন নিয়ে কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ফাইভ-জিতে বাংলাদেশ খুব বেশি দেরি করেনি। আগামী মার্চ মাসে মালয়েশিয়া ফাইভ-জি চালু করবে।’
প্রাথমিকভাবে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমণ্ডি-৩২, বাংলাদেশ সচিবালয়, মানিক মিয়া এভিনিউ এবং ঢাকার বাইরে সাভার ও টুঙ্গিপাড়ায় এই সেবা পাওয়া যাবে। হুয়াওয়ে ও নকিয়ার সহযোগিতায় এই সেবা চালু হয়েছে। পরবর্তী সময়ে টেলিটক ঢাকা শহরের ২০০টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই প্রযুক্তি সেবা চালু করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাহাব উদ্দিন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝাং ঝেংজুন ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের আঞ্চলিক প্রধান সাইমন লিন উপস্থিত ছিলেন।
ফাইভজি প্রযুক্তি সেবা শুধু গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ভয়েস কলের প্রযুক্তি নয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অন্যান্য প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ক্রিটিক্যাল মিশন সার্ভিস, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট সিটি, স্মার্ট হোম, স্মার্ট ফ্যাক্টরি সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।
Leave a Reply