শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১১:১৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :::
ডেইলি চিরন্তন অনলাইন নিউজ পোর্টালের জন্য সিলেটসহ দেশ বিদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আগ্রহীরা ইমেইলে যোগাযোগ করুন
শিরোনাম ::
ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষ দশে যারা, বাংলাদেশ কত নম্বরে? ৯ই-মে “চিরন্তন” এর ২২তম প্রতিষ্টাবার্ষিকি আটা কেজি ৮০০ টাকা,একটি রুটি ২৫ টাকা!পাকিস্তানের‘গলার কাঁটা’মূল্যবৃদ্ধি শাকিবের ৩য় বিয়ের খবরের মাঝেই ছেলেকে বিদেশ পাঠাচ্ছেন অপু! টিকটক কি বিক্রি হচ্ছে, সিদ্ধান্ত জানাল কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলন, বাইডেন কেন চুপ? মে দিবসে ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেটের সমাবেশ অনুষ্ঠিত শনিবার মাধ্যমিক, রবিবার খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয় চীন থেকে থ্রেডস ও হোয়াটসঅ্যাপ সরাল অ্যাপল সাবমেরিন বিধ্বংসী ‘স্মার্ট’ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল ভারত মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ সিলেটে সুরমা টাওয়ারের ১৩ তলা থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জীবন কৃষ্ণ দক্ষিন সুরমায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত বিশ্বকাপের আগে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ নিজের ঘর দিয়েই গণতন্ত্রের মূল্যায়ন হয়, বিদেশ দিয়ে নয়: যুক্তরাষ্ট্রকে ভারত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখার ৫ উপায় ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের তীব্র গরমে হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ
ইতিহাসে বাংলাদেশের যত ঘূর্ণিঝড়

ইতিহাসে বাংলাদেশের যত ঘূর্ণিঝড়

ইতিহাসে বাংলাদেশের যত ঘূর্ণিঝড়

 

ডেইলি চিরন্তনঃ অতিপ্রবল রূপ নেওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে উখিয়া-টেকনাফের আশ্রিত রোহিঙ্গা বসতি ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার (১৩ মে) দুপুর থেকে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে টেকনাফসহ সেন্টমার্টিন ও উপকূলীয় এলাকায়।

যুগে যুগে এ ধরনের অসংখ্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ। একসময় মানুষের সুরক্ষায় তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হতো না। অতীতের অনেক ঘূর্ণিঝড় প্রাণ কেড়েছে অসংখ্য মানুষের, ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বেড়েছে বাংলাদেশের।
আগে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো নাম দেওয়া হতো না। কিন্তু ২০০০ সাল থেকে ঝড়ের নামকরণের জন্য নিয়ম বানানো হয়। তাতে ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ও ইউনাইডেট নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়ার সদস্য দেশগুলো ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া শুরু করে। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। সব দেশের কাছ থেকে ঝড়ের নাম চাওয়া হয়। তার থেকে দেশপ্রতি আটটি করে নাম বাছাই করে মোট ৬৪টি ঝড়ের নামকরণ করা হয়।

ঘূর্ণিঝড় সিডর
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর দেশের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিডর প্রায় ছয় হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল৷ যদিও রেড ক্রিসেন্টের হিসাবমতে প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার৷ উত্তর ভারত মহাসাগরে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে সৃষ্ট এ ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ২৬০ থেকে ৩০৫ কিলোমিটার৷
সিডর খুলনা ও বরিশাল এলাকায় তাণ্ডব চালায়৷ সমুদ্র থেকে উঠে আসা ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে সব কিছু ভেসে যায়৷ ঝড়ে তিন হাজারের বেশি প্রাণহানি হয়৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩২টি জেলার ২০ লাখ মানুষ৷ উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ছয় লাখ টন ধান নষ্ট হয়ে যায়৷ সুন্দরবনের প্রাণীদের পাশাপাশি অসংখ্য গবাদিপশু ‍মারা যায়৷

ঘূর্ণিঝড় আইলা
আইলা ২০০৯ সালে উত্তর ভারত মহাসাগরে জন্ম নেওয়া একটি ঘূর্ণিঝড়। ২১ মে ভারতের কলকাতা থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এর উৎপত্তি। তবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ এবং ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাংশে আইলা আঘাত হানে ২৫ মে।
এই ঘূর্ণিঝড় ভারতের ১৪৯ জন ও বাংলাদেশের ১৯৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়৷ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে উপকূলে প্রায় তিন লাখ মানুষ গৃহহীন হয়৷ বাংলাদেশে পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীর হাতিয়া, নিঝুম দ্বীপ, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করে আইলা। এর প্রভাবে খুলনা ও সাতক্ষীরায় ৭১১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়।

ঘূর্ণিঝড় মহাসেন
ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ ২০১৩ সালের ১৬ মে নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানে৷ এর বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার৷ এই ঝড় বাংলাদেশে ১৭ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়৷
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু ২০১৬ সালে ২১ মে বাংলাদেশের উপকূল এবং ভারতে অল্প কিছু অঞ্চলে আঘাত হানে৷ ধারণা করা হয়, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর ব্যাপ্তি ছিল দুটি বাংলাদেশের সমান আকৃতির৷ রোয়ানু’র আঘাতে চট্টগ্রামে ২৬ জনের মৃত্যু হয়৷

ঘূর্ণিঝড় মোরা
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরা ২০১৭ সালের ৩০ মে ১৪৬ কিলোমিটার বাতাসের গতিতে কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে৷ ঝড়ের তাণ্ডবে হাজার হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়৷ কক্সবাজারে বিদ্যুৎব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে৷ জমির ফসল এবং লবণচাষিদের জমানো লবণ নষ্ট হয়ে যায়৷ দুই নারীসহ তিনজন মারা যায়৷
ঘূর্ণিঝড় ফণী
২০১৯ ‍সালের ৩ মে বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে বাংলাদেশে নয়জনের মৃত্যু হয়৷ তবে প্রাণহানি কম হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি৷

সেই সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় ফণীতে ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর ফসলি জমি আক্রান্ত হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ১ হাজার ৮০৪ হেক্টর। ওই ঝড়ে ২ হাজার ৩৬৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১৮ হাজার ৬৭০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার। এছাড়া ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। ফণীর প্রভাবে ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে একজন করে এবং বরগুনায় দুজনসহ মোট পাঁচজন নিহত হয়।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল
বারবার দিক বদল করে ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অতিপ্রবল এই ঘূর্ণিঝড় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপ উপকূলে আঘাত হানার পর স্থলভাগ দিয়ে বাংলাদেশে আসায় ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কার চেয়ে কম হয়৷ আক্রান্ত হয় বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, খুলনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীর ২০ লাখ মানুষ। এই ঝড়ে প্রাণ হারায় কমপক্ষে ১৭ জন। ফসলের ক্ষেত আক্রান্ত হয় প্রায় ২ লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর। এর মধ্য দুই থেকে পাঁচ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়। মাছ নষ্ট হয় প্রায় ৪৭ কোটি টাকার।
বুলবুলে’ ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর অন্যতম ছিল সাতক্ষীরা। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে শুধু সাতক্ষীরায় প্রায় ১৭ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং ৩৫ হাজার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় ৫
হাজার ১৪টি চিংড়ি ঘের৷

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান
করোনাভাইরাসের সংকটকালে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। উত্তর থেকে দক্ষিণ— পুরো দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই ঘূর্ণিঝড়ে। ২০২০ সালের মে মাসের এই ঝড় বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রায় ২৮ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। এতে দেশের ছয় জেলায় ২১ জন মারা যায়।
ঝড়ের পর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ক্ষতির হিসাব অনুসারে, ২৬টি জেলার মোট ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয় আম্ফানে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২০০টি সেতু ও কালভার্ট। ১৩ জেলার ৮৪টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে যায়। এসব ভাঙা বাঁধের মোট দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার। আম্ফানে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলের ক্ষেত। ১ লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ১৭ জেলায় ৪৭ হাজার হেক্টর বোরো ধানের ক্ষেত ও ৭ হাজার ৩৮৪ হেক্টর আমবাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ঝড়ের পর থেকে বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। আম্ফানের কারণে দেশের দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তরের ২৫ জেলার দেড় কোটি গ্রাহক ঝড়ের আগেই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এসব জেলার বেশির ভাগ স্থানে ঝড় শুরু হওয়ার ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা আগেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো।ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশ উপকূলে আঘাতের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। রাজধানীসহ দেশের অন্তত ২০ জেলায় বাড়ি ও উন্মুক্ত স্থানে; বিশেষ করে, পার্ক ও সামাজিক বনায়ন হয়েছে এমন এলাকায় অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়ে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি ও দমকা বাতাসের কারণে আমন ধানের গাছ হেলে পড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

May 2024
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  



© All rights reserved © dailychironton.com
Design BY Web Nest BD
ThemesBazar-Jowfhowo