ফাঁসির রায় বহাল থাকায় বিচলিত নন জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান। কারাগারে তার সঙ্গে সাক্ষাতের পর ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামী জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্য কামারুজ্জামানকে হাসিমুখে বিদায় জানিয়েছেন। তিনি তাদের সৎ পথে থাকার এবং সৎ উপার্জনের পরামর্শ দিয়েছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কামারুজ্জামানের স্ত্রী নুরুন্নাহার, মেয়ে আছিয়া নূর, দুই ছেলে হাসান ইকবাল ইয়ামি ও হাসান ইমাম ওয়াফি, ভাগ্নি রুকসানা জেরিনসহ ১২ জন কারাফটকের সামনে যান। সন্ধ্যায় ৬টা ৪৫ মিনিটে একজন বাদে বাকিরা কারাগারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এক ঘণ্টা পর রাত পৌনে ৮টায় তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
সাক্ষাৎ শেষে ওয়ামি বলেন, যে রায় সরকার দিয়েছে তা ঐতিহাসিকভাবে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। তার (কামারুজ্জামান) ওপর জুলুম করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে এই রায়ে যারা জড়িত, আল্লাহ তাদের বিচার করবেন।
কারাগার থেকে বেরোনোর সময় কামারুজ্জামানের মেয়ে আছিয়া নূর সবার উদ্দেশ্যে ‘ভি’ চিহ্ন দেখান। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসান ইকবাল বলেন, এ ঘটনায় আমরা বিচলিত নই। হাসিমুখে আমরা তাকে বিদায় জানাতে এসেছি এবং হাসিমুখে চলে যাচ্ছি।
হাসান জানান, ফ্যামিলির উদ্দেশ্যে তার বাবা বলেছেন, ‘সৎ পথে থেকো, সৎ উপার্জন করো। তিনি বলেন, আব্বা কোনও অপরাধ করেননি। সোহাগপুরের যে ঘটনার জন্য তাকে দায়ী করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। আব্বা সুস্থ ও মানসিকভাবে শক্ত রয়েছেন। এটা শেষ দেখা কিনা সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে হাসান ইকবাল বলেন, এটা শেষ দেখা না। শেষ দেখা হলে একান্তভাবে কথা বলার সুযোগ দেয়া হতো। তা দেয়া হয়নি। এটা শেষ দেখা না বলেই আমরা মনে করি। ক্ষমাপ্রার্থনা প্রসঙ্গে হাসান ইকবাল বলেন, কেন ক্ষমা চাইবেন? তিনি কি অপরাধ করেছেন? হাসান বলেন, তরুণ প্রজন্ম প্রহসনের এই রায়ের সমুচিত জবাব দেবে। কারাগার থেকে কামারুজ্জামানের ছেলে বেরিয়ে আসার আগেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়ার জেলসুপার ফরমান আলী সাংবাদিকদের বলেন, আমি এখ পর্যন্ত আদালতের রায়ের কপি পাইনি। রায়ের কপি না পেয়ে রায় সংক্রান্ত কোনও কার্যক্রম করা যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনজীবিদের সঙ্গে তার (কামারুজ্জামান) দেখা করার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যরা রায়ের পর দেখা করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। সেজন্য তারা দেখা করেছেন। তিনি বলেন, জেলকোড অনুযায়ী যে সুবিধা দেয়ার কথা তাই তাকে (কামারুজ্জামান) দেয়া হচ্ছে। বিধি-বিধান মেনেই আমরা আমাদের কাজ করছি।
Leave a Reply