যৌতুকের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতিত ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নিয়ে রাজধানীর জুরাইনে নিজ বাসায় আটকে রেখে তাঁকে নির্যাতন করেছেন তাঁর স্বামী।
ভুক্তভোগী মাহমুদা আক্তার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী। আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তাঁর বাবা মো. মাহফুজুর রহমান। ঘটনার প্রতিবাদে ও নির্যাতনকারী স্বামী মোফাজ্জল হোসেনের বিচারের দাবিতে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
এর আগে টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক ছাত্রীর ওপর যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তাঁর মেজর স্বামীর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করেছেন।
মানববন্ধনে মাহমুদার বাবা মাহফুজুর রহমান অভিযোগ করেন, দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাঁর মেয়েকে জোর করে বিয়ে করেন মোফাজ্জল হোসেন নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। বিয়ের দুই বছর পর থেকেই স্বামী যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় মেয়েকে নির্যাতন করতেন। পড়াশোনায় বাধা দিতেন। গত ৩১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে এলে তাঁর স্বামী তাঁকে জুরাইনের বাসায় নিয়ে যান। মেয়ের চুলের মুঠিতে ধরে প্রচণ্ডভাবে মেঝেতে ও দেয়ালে ফেলে আঘাত করেন। তাঁর হাতের একটি আঙুল কেটে ফেলেন এবং কনুই থেঁতলে দেন। চোখের ওপরে কামড়ে দাঁত বসিয়ে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করেন বলে তিনি জানান।
এ ঘটনায় মামলা করতে চাইলে জামাতা মোফাজ্জল তাঁকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ মাহফুজুর রহমান। তিনি কোনো মামলা করেননি বলে জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘মাহমুদার ওপর নির্মম নির্যাতন মানুষ হিসেবে আমাদের লজ্জিত করে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের একজন ছাত্রীর ওপর এমন আচরণে আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না।
Leave a Reply