প্রদোষচন্দ্র মিত্র ওরফে ‘ফেলুদা’ সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র। ১৯৬৫ সালে কলকাতার সন্দেশ পত্রিকায় ফেলুদা সিরিজের প্রথম গল্প ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’ প্রকাশ হয়। ১৯৬৫ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত এই সিরিজের মোট ৩৫টি সম্পূর্ণ ও চারটি অসম্পূর্ণ গল্প ও উপন্যাস প্রকাশ হয়েছে। এবার এই সিরিজ নিয়ে বাংলাদেশে নির্মাণ হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক। এগুলো নির্মাণ করছে আলফা আই মিডিয়া প্রোডাকশন লিমিটেড। ফলে দুই বাংলায় এবারই প্রথম সত্যজিৎ পুত্র সন্দিপ রায় ছাড়া নির্মাণ হচ্ছে ‘ফেলুদা’। গত ৫ই এপ্রিল কলকতায় সন্দিপ রায়ের কাছে থেকে ২০ টি গল্পের অনুমতি নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল। গল্পগুলো হলো ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’, ‘কৈলাশ চৌধুরীর পাথর’, ‘শেয়াল-দেবতার রহস্য’, ‘বাক্স-রহস্য’, ‘সমাদ্দারের চাবি’, ‘ঘুরঘুটিয়ার ঘটনা’, ‘গোঁসাইপুর সরগরম’, ‘গোরস্থানে সাবধান’, ‘গোলেকধাম রহস্য’, ‘নেপোলিয়ানের চিঠি’, ‘টিনটোরেটোর যীষু’, ‘অম্বর সেন অন্তর্ধান রহস্য’, ‘জাহাঙ্গীরের স্বর্ণমুদ্রা’, ‘বোসপুকুরে খুনখারাপি’, ‘অপ্সরা থিয়েটারের মামলা’, ‘শকুন্তলার কণ্ঠহার’, ‘ডাঃ মুনসীর ডায়েরি’, ‘নয়ন রহস্য’, ‘গোলাপী মুক্তা রহস্য’, ‘রবার্টসনের রুবি ও ইন্দ্রজাল রহস্য। শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘ফেলুদা’ আমার খুব পছন্দের একটি চরিত্র। আর সে কারণে এটি নিয়ে আমার আগ্রহটাও অনেকদিন আগে থেকেই। সত্যজিৎ রায় ‘ফেলুদা’ সিরিজের ‘সোনার কেল্লা’ ও ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। বর্তমানে সত্যজিতের পুত্র সন্দীপ রায় ফেলুদার গল্প ও উপন্যাস নিয়ে টেলিভিশন ধারাবাহিক ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে উদ্যোগী হয়েছেন। আর সে কারণেই সন্দিপ রায়ের কাছে থেকে আমরা ২০টি গল্পের টেলিভিশন নাটক নির্মাণের জন্য অনুমতি নিয়েছি। ফলে এটা বলা যায়, দুই বাংলায় এবারই প্রথম আমরা ‘ফেলুদা’ নিয়ে কাজ করছি। প্রতিটি গল্প থেকে নির্মাণ করা হবে ৫ পর্বের একটি করে ধারাবাহিক নাটক। এগুলো নির্মাণ করবেন দেশ সেরা সব পরিচালক।
Leave a Reply