ডেইলি চিরন্তনঃ মানিকগঞ্জের শিবালয়ের কৃষি অফিসে কৃষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে উপসহকারী কর্মকর্তাকে শাস্তিস্বরূপ তাত্ক্ষণিক বদলি করা হয়েছে। তবে একই অভিযোগ থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সুজনের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রবিআহ নূর আহমেদ।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার উপজেলার উথুলী ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের বজলুর রহমান নামের এক কৃষক একগুচ্ছ পোকা ধরা ধানগাছ নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে যান। এ সময় ধানগাছের সমস্যার কথা জানালে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সুজন তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাঁকে অফিস থেকে বের করে দেন। ওই ঘটনায় দুই সাংবাদিক ভুক্তভোগী কৃষককে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারের কাছে গেলে তাঁদের সামনেই কৃষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তিনিও। সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করলে তাঁদের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। তাঁদের নির্দেশে ঘটনার পরদিন জেলার অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. শহিদুল আমীন এবং অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মো. মামুন ইয়াকুবকে ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে ওই দিন বিকেলেই উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দিনাজপুর অঞ্চলের অধীনে মহাপরিচালকের পক্ষে উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুল হাই স্বাক্ষরিত বদলির আদেশ দেওয়া হয়। ওই দিনই শিবালয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাঁকে অবমুক্ত করে দেন।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রবিআহ নূর আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, শিবালয় কৃষি অফিসে কৃষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় তদন্ত করে ঊর্ধ্বতনরা তাঁকে শাস্তিস্বরূপ দিনাজপুরে স্ট্যান্ড রিলিজ করেছেন।
একই অভিযোগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিলেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে বিষয়গুলো দেখা হবে।’
Leave a Reply