সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণের পরও জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি আজ রাতে কার্যকর হচ্ছে না। ইতিমধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশের নিরাপত্তা শিথিল করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ফাঁসির আগে কামারুজ্জামান তার পরিবারের সাথে শেষ সাক্ষাতের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। এর আগে বুধবার পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাত করলেও সেটি ছিল রুটিন সাক্ষাত। সেসময় কারাকর্তৃপক্ষ পরিবারকে জানিয়েছিলেন, তারা শেষ সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।
শুক্রবার প্রস্তুতি সম্পন্ন হবার পর গণমাধ্যমে খবর পেয়ে কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইকবাল গণমাধ্যমকে জানান, সাক্ষাত করতে না দেয়া চরম মানবাধিকার লংঘন। তিনি বলেন, সেদিন বুধবার আমরা বাবার সাথে দুর থেকে কথা বলেছি। আর শেষ সাক্ষাতে সাধারণত কাছ থেকে কথা বলতে দেয়া হয়। কোলাকুলির সুযোগ দেয়া হয়। তারা কারাকর্তৃপক্ষের প্রতি শেষ সাক্ষাতের সুযোগ দেয়ার আহবান জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফাসি কার্যকরের জন্য শুক্রবার সন্ধ্যার পর দুজন কারা চিকিৎসক, লালবাগ জোনের পুলিশের ডিসি ও সিনিয়র জেল সুপার কারাগারে প্রবেশ করেন। এজন্য কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকসহ আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা নেয়া হয়।
কিন্তু অজ্ঞাত কারনে রাত পৌনে দশটার দিকে সিনিয়র জেলসুপার, কারা চিকিৎসক ও পুলিশের কর্মকর্তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে যান। এরপর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজ রাতে কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের সম্ভাবনা কম।
সূত্রটি জানায়, জেল কোড অনুযায়ী পরিবারের সাথে শেষ সাক্ষাত না হওয়ায় ফাঁসি কার্যকর স্থগিত হয়ে যায়।
Leave a Reply