এই ক্যাচটি জায়গা পেয়েছে আইসিসির সেরা দশে। ছবি: রয়টার্সভারত ম্যাচের ক্ষত কি একটু শুকিয়েছে? নাকি কোনো দিনই শুকোনোর নয়? আলোচনার ঝড় খানিকটা স্তিমিত হলেও নতুন করে ফের সেটা উসকে যেতে পারে। বিশ্বকাপের পর নানা বিভাবে আইসিসি সেরা দশের তালিকা করছে। সেরা দশ ক্যাচের মধ্যে আছে বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার ফাইনালে শিখর ধাওয়ানের ধরা মাহমুদউল্লাহর সেই ক্যাচটি। যে ক্যাচটি নিয়ে প্রশ্ন আছে বাংলাদেশের সমর্থকদের মনে। এ নিয়ে কম বিতর্কও হয়নি।
আগের দুই ম্যাচে টানা সেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহ ভারতের বিপক্ষেও খেলছিলেন ভালোই। ২৮ বলে করেছিলেন ২১। এর পরই ঘটে সেই ক্যাচের ঘটনা।
মোহাম্মদ সামির করা ইনিংসের ১৭তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে রান নেননি। শেষ বলটা শর্ট পিচ ডেলিভারি দেন সামি। পুল করেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটের ওপরের কোনায় লেগে বল উড়ে যায় লং লেগ সীমানায়। সীমানা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা ধাওয়ান তিনবারের চেষ্টায় বলটি লুফে নেন। প্রথম দফায় বল তাঁর হাত ফসকে বেরিয়ে যায়। দ্বিতীয়বার তিনি লুফে নিলেও ভারসাম্য হারাতে থাকেন। ফলে বল শূন্যে ছুড়ে দিয়ে সীমানার ওপারে লাফ দিয়ে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনেন। এর পর আবার ভেতরে ঢুকে নিয়ে নেন ক্যাচটি।
দ্বিতীয় দফায় ক্যাচটি মুঠোবন্দী করার সময় ধাওয়ান সীমানা স্পর্শ করেছেন বলেই দাবি বাংলাদেশের সমর্থকদের। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোসহ অনলাইন, টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা হয়। আসলে ওই ম্যাচে আরও দুটো সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল বাংলাদেশের সমর্থকেরা। সুরেশ রায়নার এলবিডব্লুর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়া এবং ‘নো’ বল ডাকার ফলে ক্যাচ দিয়েও রোহিত শর্মার বেঁচে যাওয়া।
সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে যায়, এ নিয়ে আইসিসির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল পর্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি প্রযুক্তির পূর্ণ ব্যবহার না করা নিয়েও প্রশ্ন ছিল তাঁর। এই ম্যাচে স্পাইডার ক্যাম ব্যবহার করা হয়নি, মাহমুদউল্লাহর ক্যাচটির রিপ্লে যথেষ্টবার দেখাও হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বিতর্কের ফলে কামালকে ফাইনালে ট্রফি তুলে দেওয়ার সম্মান থেকে বঞ্চিত করা হয়। প্রতিবাদী কামাল শেষে আইসিসির পদ থেকে সরেও দাঁড়ান
Leave a Reply